ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ কারিগরি কমিটির
ভারতে ‘ডাবল ও ট্রিপল মিউট্যান্ট’ ভাইরাসের কথা শোনা যাচ্ছে। যার প্রভাবে একদিনেই দেশটিতে তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে।
এ অবস্থায় ভারতের নতুন এই ধরন যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ বা কঠোর সতর্কতা জারির পরামর্শ দিয়েছে করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি।
ভারতের ‘ডাবল ভ্যারিয়েন্ট’ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ভারতের ‘ডাবল ভ্যারিয়েন্ট’ যেন দেশে না ঢুকে, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ভারত আমাদের সীমান্তবর্তী দেশ। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের কী অবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাদের সঙ্গে যেহেতু আমাদের এখনও সীমান্ত খোলা, যেকোনো সময়েই দেশটির ধরনটি আমাদের দেশে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ভারত থেকে চলেই আসে, তবে তা আমাদের জন্য অনেক ঝুঁকির কারণ হবে।
তিনি বলেন, আগেই ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সর্বোচ্চ কোয়ারেন্টাইনের জন্য টেকনিক্যাল কমিটি সুপারিশ করেছিল। কিন্তু আমরা সেটাও করতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
সরকারকে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকালের মধ্যে সরকারকে সুপারিশ করা হবে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ‘ডাবল মিউটেশনের’ কারণে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। টিকা তখন কাজ করে না।