ব্যাকায়দা হোটেল,শাহজাদপুরের আলোচিত খাবারের দোকান
ব্যাকায়দা হোটেল। নামের মধ্যেই রয়েছে কৌতুহল। খাবারের হোটেলের আবার এমন নাম হয় নাকি? আপনি যাই মনে করেন না কেন ঘটনা কিন্তু এমনই। আধুনিকতার এই সময়ে যখন চারিদিকে ফ্যাশনেবল নামের প্রতিযোগিতা চলছে। ঠিক সেই সময়ে বগুড়া – নগরবাড়ী মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা সদরের দিলরুবা বাসস্ট্যান্ডের সামান্য দক্ষিণে আব্দুল হামিদ সি এন জি ফিলিং স্টেশনের পাশেই দেখা মেলে অভিনব একটি খাবারের হোটেলের। যার নাম ব্যাকায়দা হোটেল। চলার পথে এর সাইনবোর্ডে যেকোন পথচারীর চোখ আটকে যায়।
প্রায় চার বছর ধরে এ হোটেলটি পরিচালনা করছেন নবীর মন্ডল – আলেকা খাতুন দম্পতি। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এখানে ভাত, মাছ, খিচুড়ি, মাংসসহ ঘরোয়া সব খাবার পাওয়া যায়।
যদিও আধুনিক হোটেল বলতে যা বুঝায় তার কিছুই নেই এখানে। তবুও সুলভ মূল্যে মালিকের নিজ হাতে তৈরি এ খাবারের স্বাদ নিতে প্রতিদিনই ছোট্ট টিনের ছাপড়া ঘরে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। খাবার খেতে আসা কয়েকজনের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তারা কেউ কেউ এ হোটেলের খাবারের প্রশংসাও করেন।
হোটেলের নাম ব্যাকায়দা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আলেকা খাতুন জানান, প্রায় চার বছর আগে কিছুদিন অন্য জায়গার সকল সিএনজি স্টেশন বন্ধ ছিল, শুধু এইটা (আব্দুল হামিদ সি এন জি ফিলিং স্টেশন) খোলা ছিল। তখন গ্যাস নিতে আসা সিএনজি ড্রাইভাদের দীর্ঘ লাইনের কারনে কখনো কখনো ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো। সেসময়ে তাদের পরামর্শে আমি ডাল ভাত, খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতাম। তারা বলতো আমরা ব্যাকায়দায় পড়ে তোমার হোটেলে খাই। সেই থেকে মুখে মুখে আমার হোটেলের নাম হয়ে যায় ” ব্যাকায়দা হোটেল”।
মহাসড়কে চলা যানবাহনের শ্রমিকেরা, সিএনজি পাম্পে আগত লোকজন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী এবং গ্রাহকেরা এ হোটেলের নিয়মিত কাস্টমার হলেও ইদানিং সাধারণ মানুষেরাও এখান থেকে খাবার গ্রহন করে থাকেন। পাশাপাশি শুধুমাত্র ব্যাতিক্রমী নাম দেখেও কেউ কেউ এখানে আসেন।
নামের বড়াই কোরো নাকো নাম দিয়ে কি হয়? নামের মাঝে পাবে নাকো সবার পরিচয়। ঠিক তেমনি নাম ব্যাকায়দা হলেও এর খাবার কিন্তু ভোজন রসিকদের মন জয় করে চলেছে প্রতিনিয়ত।