fbpx
হোম আন্তর্জাতিক বেতন না পেয়ে গণ-আত্মহত্যা !
বেতন না পেয়ে গণ-আত্মহত্যা !

বেতন না পেয়ে গণ-আত্মহত্যা !

0

করোনার কারণে টানা দু’মাস বেতন বন্ধ। মানবেতর জীবন-যাপনের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে গণ-আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের এক শ্রমিক ও তার পরিবারের ৬ সদস্যসহ অন্তত ৯ জন।

একসঙ্গে কুয়ায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তারা সবাই। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে। নিহতদের ৬ জনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে এবং তারা একই পরিবারের। এছাড়া দু’জন বিহারের এবং এক জন ত্রিপুরার।

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে সি রাও বলেছিলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য ট্রেন-বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। হেঁটে যেন কেউ বাড়ির পথ না-ধরেন। সেদিনই হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে গোরেকুন্টা গ্রামের এই কুয়া থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার একই কুয়া থেকে আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, শ্রমিকরা গণ-আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তারা লকডাউনের কারণে বাড়িতে ফিরতে পারছিলেন না। দু’মাস ধরে জুটমিল ও অন্য কারখানা থেকে বেতন পাননি এই শ্রমিকরা। কারও শরীরে আঘাতের চিহ্নও নেই। ফলে এটি হত্যাকাণ্ড নয় বলে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঘরে ফিরতে না-পারা, আশ্রয় হারানো এবং চরম আর্থিক সঙ্কট নিয়ে নিহতরা মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের বাসিন্দা মাকসুদ আলম ২০ বছর আগে গোরেকন্টার এক জুট মিলে কাজ পান। কারখানার পাশে দু’টি ঘরে সপরিবারে বসবাস করতেন তিনি। লকডাউনে বেতন বন্ধ হয়। ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয় তাদের।

স্থানীয় এক দোকানদার নিজের গুদামে আশ্রয় দিয়েছিলেন এই শ্রমিকদের। সেই গুদামের কাছে কুয়াটিতে মাকসুদ, তার স্ত্রী নিশা, দুই ছেলে সোহেল ও শাবাদ, মেয়ে বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের নাতি শাকিলের মরদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া ত্রিপুরার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ জুট মিলের গাড়ি চালাতেন। বিহারের শ্রীরাম ও শ্যাম অন্য একটি কারখানায় কাজ করতেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *