fbpx
হোম ক্রীড়া বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

0

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তীব্র উত্তেজনাকর ম্যাচে সাকিবের বরিশালকে কাঁদিয়ে মাত্র এক রানে জয় পায় ইমরুলের কুমিল্লা।

বিপিএল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তুলতে সক্ষম হয় বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ফাইনালে সবচেয়ে কম বলে অর্ধশতক করার রেকর্ড করেছেন সুনিল নারিন। নাটকীয় এ ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে জিততে শেষ ৩ বলে ৭ রান প্রয়োজন ছিল। ২ রান নেয়ার পর দ্বিতীয় বলে তৌহিদ হৃদয় ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলে তা লুফে নিতে ব্যর্থ হন তানভির ইসলাম। শেষ বলে ৩ রানের প্রয়োজন হলে এক রান নিতে সক্ষম হয় বরিশাল। ফলে ১ রানে ম্যাচ জিতে তৃতীয় বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলে কুমিল্লা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সুনিল নারিন ও তানভির ইসলাম পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। মোস্তাফিজ ও শহিদুল ইসলাম একটি করে উইকেট দখল করেছেন।
মিরপুরে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে ঝড় তুলে সবচেয়ে কম বলে অর্ধশতক হাঁকানো ক্যারিবিয় অলরাউন্ডার সুনীর নারিন ফাইনালেও করেছেন রেকর্ড। ২১ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে গড়েছেন বিপিএল ফাইনালে সবচেয়ে কম বলে অর্ধশতক হাঁকানোর রেকর্ড। ফাইনালে নারিনের ব্যাটে আগুনের ফুলকি ঝড়েছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার লিটন দাস মাত্র ৪ রান করে সাকিব আল হাসানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যখন সাজঘরে ফিরেছিলেন তখন দলীয় রান ছিল ৪০। ২১ বলে অর্ধশতক হাঁকালেও এর পর নারিন তার ইনিংসকে বেশ একটা দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। পাওয়ারপ্লে’র শেষ ওভারে মেহেদি হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ২৪৭.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয় অলরাউন্ডার । দলের দুই ওপেনারকে হারানোর পর হযবরল হয়ে পড়ে কুমিল্লার ব্যাটিং লাইন আপ। মাহমুদুল হাসান জয় (৮), ফাফ ডু প্লেসিস (৪), ইমরুল কায়েস (১২), আবু হায়দার রনি (১৯) কেউ দীর্ঘ ইনিংস খেলতে সক্ষম হননি। মুজিব, শফিকুল, ব্রাভোর বোলিং তোপে পড়ে এলোমোলো শটে নিয়মিত বিরতিতে সাজঘরের পথ ধরছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটাররা । ৯৫ রানের মধ্যে হারায় ৬ উইকেট। এরপর মঈন আলীর ব্যাট থেকে ৩২ বলে ৩৮ ও আবু হায়দার রনি শেষ দিকে ধীরগতিতে ব্যাটিং করে ২৭ বলে ১৯ রান করলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে হারিয়ে ১৫১ তুলতে সক্ষম হয় দুই বারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এছাড়া আরিফুল হক, শহিদুল ইসলাম শূন্য রানে আউট হয়েছেন এবং তানভির ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানও কোন রান না করেই অপরাজিত ছিলেন। বরিশালের হয়ে মুজিব উর রহমান ও শফিকুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট এবং সাকিব আল হাসান , ডেয়াইন ব্রাভো ও মেহেদি হাসান রানা পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেটে হারায় ফরচুন বরিশাল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে দারুণভাবে ইনিংসের সূচনা করে দেয়া মুনিম শাহরিয়ার ফাইনালে ৭ বল খেলে কোনো রান না করেই শহিদুল ইসলামের বলে ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। দুই নম্বরে উইকেটে আসে আরেক তরুন সৈকত আলী। ক্রিস গেইল ও সৈকত আলীর দ্বিতীয় উইকেটের জুটি ভাঙ্গে দলীয় ৭৯ রানে। ইনিংসের দশম ওভারে ৩৪বলে ১১টি চার ও ১টি ছয়ে ৫৮ রান করেন বরিশালের এ উদীয়মান ক্রিকেটার। এরপর ১৩ তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে স্বদেশী নারিনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরে যান ক্রিস গেইল। ১৫তম ওভারে তানভির ইসলামে বলে কানায় লেগে উঠে যাওয়া বলে দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়ে সাকিব আল হাসানকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার গ্রুপ পর্বে টানা পাঁচ ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে নিলেও প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাত্র ১ রানে রান আউটের শিকার হয়েছিলেন। ফাইনাল ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৭ রান।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসরে বরিশাল তার প্রথম শিরোপা জয় করে নিলেও অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসান এ নিয়ে তিনটি শিরোপা জয় করেছেন। ২০১৬ সালে রাজশাহী কিংসকে ৫৬ রানের হারিয়েছিল সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস। ২০১৩ সালে চিটাগাং কিংসকে ৫২ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *