fbpx
হোম জাতীয় পি কে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তথ্য আসেনি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পি কে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তথ্য আসেনি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পি কে হালদারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তথ্য আসেনি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0

ভারতে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিষয়ে বাংলাদেশে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য (ডকুমেন্ট) আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।

পি কে হাওলাদারের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জেনেছি পি কে হাওলাদার গ্রেফতার হয়েছেন। তবে আমাদের কাছে এখনো তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু আসেনি। আমাদের যে কাজ আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

তিনি বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশে ওয়ারেন্টেড ব্যক্তি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরেই তাকে চাচ্ছিলাম।

এর আগে গতকাল শনিবার সকালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারসহ ছয়জনকে পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাকি পাঁচজন হলেন উত্তম মিত্র, স্বপন মিত্র, সঞ্জীব হালদার, প্রাণেশ হালদার (প্রীতিশ) ও তার স্ত্রী।

এদিকে পি কে হালদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ভারতের ব্যাঙ্কশাল স্পেশাল সিবিআই কোর্ট। শনিবার গভীর রাতে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ব্যাঙ্কশাল সিবিআই কোর্টে হাজির করা হয়। এরপর তাদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে শুক্রবার (১৩ মে) পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। এসময় দেশটিতে পি কে হালদারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পায় গোয়েন্দা সংস্থাটি। কলকাতায় সুকুমার মৃধার কাছে এ অর্থের সন্ধান মেলে। তিনি পি কে হালদারের সহযোগী।

ইডি জানায়, প্রশান্ত হালদার নামে এক বাংলাদেশী হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তারই সহযোগী সুকুমার মৃধা বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাছ ব্যবসায়ী।

সুকুমার মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মাছের ব্যবসার আড়ালে বিপুল পরিমাণ বেআইনি টাকার লেনদেন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ছয় শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *