fbpx
হোম জাতীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে আলু-পেঁয়াজ, লাফিয়ে বাড়ছে দাম
নিয়ন্ত্রণের বাইরে আলু-পেঁয়াজ, লাফিয়ে বাড়ছে দাম

নিয়ন্ত্রণের বাইরে আলু-পেঁয়াজ, লাফিয়ে বাড়ছে দাম

0

আলু-পেঁয়াজের দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে দিগুণ দামে
ভোগান্তির অন্ত নেই বাজারের অস্বস্তিতে। নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। আলু-পেঁয়াজের বাজার দীর্ঘদিন ধরে চড়া, যা এখন লাগামছাড়া।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভোক্তাপর্যায়ে সম্প্রতি ডিম, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও চিনির দাম সহনীয় রাখতে দাম বেঁধে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ও ৬৫ টাকা প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউ মানছে না। উল্টো দিনকে দিন দাম বাড়িয়ে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে মনিটরিং নিয়ন্ত্রণের বাইরে, অবস্থা যেন হ-য-ব-র-ল।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খুচরা পর্যায়ে দাম যাচাই করে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। যদিও ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রির কথা জানিয়েছে সরকার।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশনা থাকলে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সরকারের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু আলু-পেঁয়াজই নয়, দাম বেড়েছে চিনিরও। পরিশোধিত খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৪৫ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা কেজি হলেও ২৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি শিম ১২০-১৩০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৪০-৬০ টাকা, স্থানভেদে বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়ার দামও চড়া। করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, মূলা ৬০-৮০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কাটা টুকরো বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৮০-৯০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০, উস্তা ১০০ ও কচুর লতি ৮০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্রতি পিস জালি ৪০-৫০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানভেদে শাকের আঁটিও চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অপরদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কিছু স্থানে ৭০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। অল্প কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। এক কেজির রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। দুই থেকে আড়াই কেজির রুই-কাতলার দাম কেজিতে ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, বাইম মাছ (ছোট) ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ১১০০ টাকা এবং ছোট চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

 

ইত্তেফাক

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *