fbpx
হোম অন্যান্য দুর্দশাগ্রস্তদের আচরণ পরিবর্তনে প্রয়োজন ৪০ কোটি টাকা
দুর্দশাগ্রস্তদের আচরণ পরিবর্তনে প্রয়োজন ৪০ কোটি টাকা

দুর্দশাগ্রস্তদের আচরণ পরিবর্তনে প্রয়োজন ৪০ কোটি টাকা

0

হতদরিদ্ররা কীভাবে হাত ধোবে, নিরাপদ পানির ব্যবহার করবে, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারবে এবং করোনার বিস্তার রোধ করবে— এমন বিষয়গুলো শেখানোর জন্য ওই টাকা খরচের ৩৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা খরচের প্রস্তাব দিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।

প্রধান প্রকৌশলী বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিকল্পনা সার্কেল) মোহাম্মদ আনোয়ার ইউসুফের কাছে যেতে বলেন।

আনোয়ার ইউসুফের কাছে প্রকল্পটির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, যাতে তারা (হতদরিদ্র বা দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ) নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে পারে, সেফলি স্যানিটেশনটা (নিরাপদ প্রস্রাব-পায়খানা) তারা ম্যানেজ করতে পারে, তারা স্বাস্থ্যবিধি  সম্পর্কে যেন আরও সচেতন হয়। আগে তারা যে জিনিসটা জানত না বা অভ্যস্ত ছিল না, সেই জিনিসটাতে যেন তারা অভ্যস্ত হয়; এসব বিষয় নিয়ে ক্যাম্পেইন করা হবে।

আচরণ পরিবর্তনে হতদরিদ্রদের মাঝে কীভাবে প্রচারণা চালানো হবে, সেটার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দুই উপায়ে এর প্রচার চালানো হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের এ বিষয়ে আরও প্রশিক্ষণ দেয়া। ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের কাছে যখন মানুষ চিকিৎসা নিতে আসবে, তখন তারা সচেতনতার এই বার্তা পৌঁছে দেবে।

আর পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরতরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সভা করেন। মাসে তারা মায়েদের নিয়ে সভা করেন। স্কুলের কিশোরীদের নিয়ে সভা করেন। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা যখন সভাগুলো করবেন, তখন এই জ্ঞান তারা ওইখানে ছড়িয়ে দিতে পারবেন। এভাবে তারা তৃণমূল পর্যায়ে বার্তাটা পৌঁছে দিতে পারবেন।

পাশাপাশি বুকলেট নির্দেশিকাও দেয়া হবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের স্টেকহোল্ডার, স্কুলের শিক্ষকদেরও এতে যুক্ত করা হবে বলে জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী।

আনোয়ার ইউসুফ বলেন, খরচের বিষয়টা নীতিনির্ধারকদের ব্যাপার। আমাদের দায়িত্ব হলো প্রস্তাবনা সরকারের কাছে দেয়া। সরকার যদি মনে করে, এই প্রচারের দরকার নেই, তাহলে বাদ হয়ে যেত। কিন্তু সরকার এটা মনে করছে না। আমাদের মন্ত্রণালয়ের সভা হয়েছে, পরিকল্পনা কমিশনে সভা হয়েছে; কখনও কিন্তু তারা বলেননি যে, এই প্রচারের দরকার নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক প্রকল্পটির মোট খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৮৮৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তার মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের অঙ্গভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) ঋণ হিসাবে দিচ্ছে এক হাজার ৮৩২ কোটি ২৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *