fbpx
হোম রাজনীতি দিল্লি কি বলে দিয়েছে নির্বাচনের দরকার নাই, প্রশ্ন ফখরুলের
দিল্লি কি বলে দিয়েছে নির্বাচনের দরকার নাই, প্রশ্ন ফখরুলের

দিল্লি কি বলে দিয়েছে নির্বাচনের দরকার নাই, প্রশ্ন ফখরুলের

0

তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দিল্লি কি বলে দিয়েছে নির্বাচনের দরকার নাই? দিল্লি কি বলে দিয়েছে জোর করেই নির্বাচন ঘোষণা করে দাও?
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে পেশাজীবী কনভেনশনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এত বেশি পা চাটা হয়ে গেছে যে, তাদের সাধারণ সম্পাদক বলছেন ভয় নাই, ও রে ভয় নাই। তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে, আমরাও আছি, আমরা আছি দিল্লিও আছে? কী বুঝাতে চাইছেন? দিল্লিকে আপনাদের জানিয়েছে যে এভাবে অপকর্ম করতে থাকো? তাহলে পরিষ্কার করে বলেন? তাহলে স্বীকার করলেন এত দিনে আপস ছিল না।
তিনি বলেন, আসলে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মতো এত বড় মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে খুঁজে পাবেন না। এর আগে তাদের পররাষ্টমন্ত্রী বলেছিল, আলোচনা হয়েছে। আসলে কোনো আলোচনা হয়নি। বলেছে বৈঠক হয়েছে। আসলে কোনো বৈঠকও হয়নি। ছবি তোলার জন্য কত লবিং করেছে সেটা আমরা সবাই জানি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রং হেডেড পারসন (শেখ হাসিনা) অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের কোনো বৈধতা নেই। তাদের যেমন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষও বলে দিয়েছে তোমাদের আমরা আর বিশ্বাস করি না। যেসব দেশ সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে দেখতে চায়, তারা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি, ২০১৮ সালেও কোনো নির্বাচন হয়নি। এবারও তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। তাদের অধীনের নির্বাচন কখনো বৈধতা দেওয়া হবে না।
লন্ডনে শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, তার কথা এত কুরুচিপূর্ণ, যা নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তবে তিনি তার বক্তব্যে কয়েকটি সত্য কথা বলে দিয়েছেন। তা হলো- এদেশে যা কিছু ঘটে তা শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে ঘটে। খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার স্বীকারোক্তিতে তা প্রমাণিত হয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রমাণ হয়েছে, এদেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হলো সিদ্ধান্ত। এখন শেখ হাসিনা নিজেকে নিজে সম্রাট ঘোষণা দিলে পারেন।
তিনি বলেন, অতীতের মতো সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য একটা বাগান সাজিয়েছে। কিন্তু এবার জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায় এতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। জাতি আজ একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।

ইত্তেফাক

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *