fbpx
হোম জাতীয় দায়িত্ব পালন না করা পুলিশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: ইলিয়াস কাঞ্চন
দায়িত্ব পালন না করা পুলিশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: ইলিয়াস কাঞ্চন

দায়িত্ব পালন না করা পুলিশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: ইলিয়াস কাঞ্চন

0

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার এবং ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই–এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। রোববার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার ও পুলিশের ভূমিকায় কতটুকু সন্তুষ্ট এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, খুব একটা না। যে কাজটা করা সম্ভব ছিল সেটা তারা করেনি। আইন করা এবং আইন বাস্তবায়ন করা যাদের দায়িত্ব তারা তা করছে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সাইন দেওয়া আছে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলার জন্য। সেখানে ১০০ কিলোমিটারে গাড়ি চলছে। এটা দেখভাল করার দায়িত্বটা কার? পুলিশ কী এখানে দায়িত্ব পালন করছে? না করতে করতে এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অন্যান্য দেশগুলো যদি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না? আমাদের মন্ত্রীরা বলেন, আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে! কপালে লেখা, আমাদের করার কিছু নাই। এগুলো সংসদে বলেছেন। ২০১০ সালে জাতিসংঘ বলল, এটা কোনো অসুখ না। এটা মানুষের সৃষ্ট একটা সমস্যা।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। দেশব্যাপী সড়ক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, চালক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, শিক্ষকদের মাঝে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মশালা, যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত গোলটেবিল, মতবিনিময় কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮–এর প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইনে গতিসীমা লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান বর্ণিত থাকলেও গতিসীমা নির্ধারণ হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সড়ক দুর্ঘটনার আচরণগত পাঁচটি মূল ঝুঁকি যেমন—অতিরিক্ত গতি, স্টান্ডার্ড হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি বিবেচনায় রেখে সার্বিকভাবে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ-এর আলোকে যথাযথ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়িত হলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে।
সংবাদ সম্মেলনে নিসচার মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুলী কাজী ও বেলায়েত হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

ইত্তেফাক

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *