fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ ব্যবহার করবেন যেভাবে
জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ ব্যবহার করবেন যেভাবে

জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ ব্যবহার করবেন যেভাবে

0

হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় পড়লেন, সঙ্গে সঙ্গে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে। দেশের নাগরিকদের জরুরি সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে চালু হয়েছে ৯৯৯ জরুরি সেবা। যেকোনো মোবাইল নম্বর থেকে সম্পূর্ণ টোল ফ্রি কল করে বাংলাদেশের নাগরিকরা জরুরি মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন। ৯৯৯ সার্ভিসের প্রশিক্ষিত এজেন্টরা জরুরি মুহুর্তে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন। তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে এই সেবাটি ব্যবহার করবেন?

বিভিন্ন ধরনের কল ও জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এর অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সঠিক ও মান সম্মত সেবা প্রদানের জন্য এসব এজেন্টরা কিছু প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়ে থাকেন। তবুও যখন কোনো নাগরিক ৯৯৯ এ কল করবেন তখন নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়-

ঠিকানা প্রদান: জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য হলো সাহায্য প্রার্থীর ঠিকানা জানা। অপারেটকে যতটা সম্ভব বিস্তারিত ও সঠিক অবস্থান জানাতে হবে। জেলা বা উপজেলার নাম জানাতেও ভুলবেন না। আপনার সঠিক অবস্থান জানা না থাকলে পার্শ্ববর্তী বড় রাস্তা, বাজার বা হাইওয়ের নাম উল্লেখ করতে পারেন।

অপারেটরের প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান: আপনাকে সঠিক সেবা প্রদানের জন্য অপারেটর বা জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (এক্ষেত্রে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ) আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবেন। সেসব সঠিক উত্তর প্রদান করতে হবে। অবশ্য আপনার প্রয়োজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনাকে হয়তো একই প্রশ্নের উত্তর একাধিকবার দেয়া লাগতে পারে। বিশেষ করে ৯৯৯ থেকে কল ট্রান্সফার হয়ে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস বা হাসপাতালে পাঠানো হলে এমনটা হতে পারে।

ধৈর্য্যশীল থাকা: কল করার সময় শান্ত থাকুন এবং আপনার সমস্যা বিস্তারিত তুলে ধরুন। অনেক সময় দেখা যায়, নাগরিক তার সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে থাকেন। এমনটা করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, শান্ত থাকলেই আপনি বিশদভাবে আপনার ঘটনার বর্ণনা দিতে পারবেন। অপারেটরও আপনাকে তত ভালভাবে সেবা প্রদান করতে পারবেন।

জরুরি পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করুন: জরুরি পরিস্থিতি ব্যাখ্যার সময় কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে তথ্য দিন। কে সমস্যায় পড়েছে? কীভাবে ঘটেছে? কোন ধরনের জরুরি সেবা প্রয়োজন- অ্যাম্বুলেন্স? পুলিশ? নাকি অন্য জরুরি সেবা? কেউ আহত হলে তার পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে বলার চেষ্টা করুন। আপনার কথা বলতে অসুবিধা হলে পাশের কাউকে দিয়ে বলাতে পারেন, কল না কেটে লাইনে থাকুন।

অ্যাম্বুলেন্স সেবা চাইতে: ৯৯৯ সার্ভিসের মাধ্যমে যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হয়, তা কিন্তু বিনামূল্যে নয়। বস্তুত বাংলাদেশের কোনো কর্তৃপক্ষই বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান করে না। আর ৯৯৯ যেভাবে কাজ করে, নাগরিকের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সিঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ফলে অ্যাম্বুলেন্সের ধরন, গন্তব্যস্থল ইত্যাদি অনুযায়ী ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত হয়। তাই অ্যাম্বুলেন্স সেবা চাইতে এসব তথ্য অপারেটরকে সঠিকভাবে প্রদান করুন। অপারেটর আপনার নিকটস্থ অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিবে।

ফায়ার সার্ভিসের সেবা চাইতে: শুধু অগ্নিকাণ্ড নয়, ফায়ার সার্ভিস আরো নানা ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে ৯৯৯। যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, নৌ দুর্ঘটনা, আটকে পড়া মানুষ বা পশু, পাখি উদ্ধার ইত্যাদি। ফলে এই ধরনের সেবার প্রয়োজন হলে ৯৯৯ এ ফোন করুন।

পুলিশের সেবা চাইতে: জরুরি পুলিশি সেবার ক্ষেত্রে ৯৯৯ অপারেটর আপনাকে নিকটস্থ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার জন্য সঠিক তথ্য প্রদান করুন। শত্রুতাবশত কাউকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ৯৯৯ এ ফোন করলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশি সাহায্যের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই নিকটস্থ থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে হয়। কারণ লিখিত অভিযোগ ছাড়া অনেকক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত শুরু করতে পারে না।

অপরাধীর বর্ণনা দিন: আপনি যদি কোনো অপরাধ ঘটতে দেখেন তাহলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে পৌঁছান। যত দ্রুত সম্ভব ৯৯৯ এ কল করুন। আপনি অপরাধীকে চিনে থাকলে তা জানান কিংবা কাউকে সন্দেহ করেন কিনা তাও জানান। আনুমানিক বয়স, উচ্চতা, ওজন, কাপড়ের রং প্রভৃতি তথ্য দিন।

ফোন খোলা রাখুন: আপনি যদি কোনো মোবাইল ফোন থেকে কল করে থাকেন তাহলে আপনার নাম্বারটি খোলা রাখুন। যাতে অপারেটর যেকোনো মুহুর্তে আপনার সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করতে পারে। এর বাইরে আপনার চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষও আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

সচেতনতা তৈরি করুন: ৯৯৯ ইমাজেন্সি সার্ভিসে বিনা কারণে প্রতিদিন প্রচুর শিশু ফোন করে থাকে। এর ফলে প্রকৃত বিপদগ্রস্তরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। সময় ও সুযোগ করে আপনার সন্তানদের শেখান কীভাবে এবং কখন ৯৯৯ এ ফোন করতে হবে। কখন ফোন করবে না সেটিও শোখান।

প্রতিটি কলই গুরুত্বপূর্ণ: প্রতিটি কলই গুরুত্বপূর্ণ সেটা ফলস কলই হোল আর প্রাঙ্ক কল হোক। যদিও এসব কল প্রকৃত জরুরি সেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করে। ভুয়া কলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আপনার নাম্বারটি ব্লক করে দেয়া হবে। আপনার অসতর্কতার কারণে যাতে ৯৯৯ কল না যায় সেজন্য আপনার মোবাইলটি লক করে রাখুন।

 

 

 

সূত্র: ডিএমপি নিউজ

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *