চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প দেখছেনা যুক্তরাষ্ট্র !
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, বিশ্বজুড়ে চীনের আগ্রাসী তৎপরতার প্রতিফলন ঘটছে ভারত-চীন সীমান্তে। তার ঘনিষ্ঠজনদেরও একই মত। চীনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকানোর জন্য দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি ধরনের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন, তা এখনই পরিষ্কার না হলেও বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, শিগগিরই এ বিষয়টি সবাই জানতে পারবে।
এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত পোষণ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র সব সময় ভারত-চীন দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় এবং সে কথা বহুবার বলেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও নিজেও শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বহুবার বলেছেন।
এ ছাড়া করোনা ভাইরাস বিস্তারের জন্য চীনকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয় নিয়েও মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা। এ বিষয়ে গত মার্চে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর জশ হ্যাওলে।
ওই প্রস্তাবে মহামারির জন্য চীনকে দায়ী করা হয়েছে এবং মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত সব দেশকে চীনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ দাবির পেছনে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়েছে, মহামারির শুরুর দিনগুলোয় চীন সরকার তথ্য গোপন করার কারণে গোটা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দাবি করে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সরকার এরই মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।