করোনা কল সেন্টারে ১ কোটি ফোন, পরীক্ষা মাত্র ৫ লাখ: টিআইবি
‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে করোনা মোকাবেলা কার্যক্রমে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে টিআইবি।
গতকাল সোমবার টিআইবি কার্যালয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গবেষণার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনাহীনতা, সুশাসনের ঘাটতি ও অপ্রতুল বাজেট বরাদ্দের কারণে স্বাস্থ্য খাতের দুর্বল সক্ষমতা করোনার সংকট উন্মোচিত হয়েছে। সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের ঘাটতি প্রকটভাবে লক্ষ করা গেছে।
করোনা পরীক্ষার দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, জাতীয় কল সেন্টার ও আইইডিসিআরের নির্ধারিত হটলাইনে ১৪ জুন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ১০ লাখ ফোন কল এলেও সেই তুলনায় পরীক্ষার সংখ্যা খুবই কম (প্রায় ৫ লাখ)। বর্তমানে মাত্র ২১টি জেলায় পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।
এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত তথ্যে দেখা যায়, মাত্র ৪১.৩ শতাংশ হাসপাতাল নিজ জেলা থেকেই পরীক্ষা করাতে পারে, বাকি ৪৮.৭ শতাংশ হাসপাতালে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য বিভাগীয় শহরে বা ঢাকায় পাঠাতে হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ও প্রতিবেদন দিতে কখনো কখনো আট থেকে ১০ দিন পর্যন্ত বিলম্ব হচ্ছে। সমস্যার কারণে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ৫৭ শতাংশ হাসপাতাল প্রয়োজনের চেয়ে অর্ধেক সংখ্যক পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১১ জুন ২০২০ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ঔষধাগার দেশে প্রায় ২৩ লাখ পিপিই বিতরণ করেছে বলে দাবি করেছে। এই দাবি অনুযায়ী প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীর (প্রায় ৭৫ হাজার) কমপক্ষে ৩০ সেট সুরক্ষা সামগ্রী পাওয়ার কথা থাকলেও অনেক স্বাস্থ্যকর্মী এখনো একটিও পাননি বলে হাসপাতাল থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হাসপাতালগুলোর প্রায় ২৫ শতাংশের সব চিকিৎসক এবং ৩৪ শতাংশের সব নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী পিপিই পাননি বলে জানিয়েছেন।