করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে যাওয়া শ্রমিকরা ৯ হাজার টাকা করে পাবেন
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের মাসে ৩ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। ৩ মাসে তারা মোট পাবেন ৯ হাজার টাকা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম- এর আওতায় তাদের এই আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর চুক্তিটি ইইউর প্রতিনিধির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ইইউ সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন ‘সাপোর্ট টু ন্যাশনাল সোস্যাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটিজি রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ প্রোগ্রামের অর্থায়ন চুক্তির অ্যাডেন্ডাম নাম্বার-১ গত ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের পক্ষে সচিব বেগম ফাতিমা ইয়াসমিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে উন্নয়ন সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিস জিয়েন লুইস ভিলে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ চুক্তির আওতায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পের কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুস্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে মোট ১১৩ মিলিয়ন ইউরো অনুদান দেয়া হবে।
এর মধ্যে ইইউ দেবে ৯৩ মিলিয়ন ইউরো এবং ফেডারেল জার্মান সরকার দেবে অবশিষ্ট ২০ মিলিয়ন ইউরো। সরকার ইতোমধ্যে নতুন এ সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমটির নীতিমালা জারি করেছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শ্রম অধিদপ্তর, ৪টি শিল্প সংগঠনের সহায়তায় এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগী দুস্থ শ্রমিকদের প্রত্যেককে মাসিক ৩ হাজার টাকা হারে সর্বোচ্চ ৩ মাস আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। সব প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষে চলতি ডিসেম্বর থেকেই অনুদান দেয়ার কাজ শুরু হবে। অনুদানের অর্থ সরাসরি দুস্থ শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেয়া হবে।