কঠোর লকডাউন শ্রমিকদের বেলায় না কেনো, দায় নেবে কে ?
দেশে আবারও কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসলেও শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সংকট।
স্বাস্থ্য খাতের চরম সংকটকালে হাসপাতালগুলোতে যেখানে ঠাঁই নেই, সেখানে কলকারখানায় কর্মরত এই শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায় কে নেবে ? চিকিৎসা না পেয়ে যেখানে প্রতিদিনই মানুষের হাহাকার বাড়ছে, সেখানে কারখানাগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে যেমন উদাসীনতা রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকারি জোর চেষ্টাও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। লকডাউনের ঘোষণা দিয়েও কার্যকর করা যাচ্ছে না। এদিকে দেশের বহু শিল্পকারখানায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কার্যকর সম্ভব হচ্ছে না।
অনেক শিল্পকারখানা শ্রমিক নির্ভর হওয়ায় সেখানে স্বল্প পরিসরে গাদাগাদি করে কাজ করতে হয়। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসুরক্ষার উপকরণ না থাকা, কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নত না হওয়ায় অনেকের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয় না। তাছাড়া কর্মস্থলে আসতে নির্ভর করতে হয় গণপরিবহন। নিত্য দিনের বাজার-সদাইয়ের জন্যও ভিড়ের মধ্যে যেতে হচ্ছে। সেজন্য অনেক সময় কারখানার ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলেও শিল্পকারখানা খোলা থাকতে পারে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কিন্তু শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে কিছু বলা হচ্ছে না।
করোনার সংক্রমণ বিষয়ে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন দাবি করেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে পোশাকশিল্পে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিশ্বের বহু দেশে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিধি নিষেধ আরোপ করার পাশাপাশি তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং টিকে থাকার জন্য ন্যূনতম খরচ বহন করা হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে।