fbpx
হোম বিনোদন এক্সট্রাকশন সিনেমায় বাংলাদেশের মর্যাদাহানী হওয়ায় তুমুল সমালোচনা
এক্সট্রাকশন সিনেমায় বাংলাদেশের মর্যাদাহানী হওয়ায় তুমুল সমালোচনা

এক্সট্রাকশন সিনেমায় বাংলাদেশের মর্যাদাহানী হওয়ায় তুমুল সমালোচনা

0

অন্তর্জালের দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে স্টান ম্যন স্যম পরিচালিত প্রথম সিনেমা এক্সট্রাকশনে গল্পের সঙ্গে চিত্রায়ণ এবং প্রকৃত রাজধানী ঢাকাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা নিয়ে।

যদিও প্রথমে মুভিটির নাম ছিলো ঢাকা। পরে তা রাখা হয় এক্সট্রাকশন। তারও আগে ঘটনা প্রবাহ ভারত আর প্যারাগুয়ের মধ্যে হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়ে যায় ভারত থেকে ঢাকা।

প্রায় সাড়ে ৬ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এক্সট্রাকশন সম্পূর্ণই এ্যকশনধর্মী সিনেমা তবে কাল্পনিক। ছবিটির গল্পে ভারতের মাফিয়া, পঙ্কজ ট্রিপাট্রির ছেলে অভি মহাজনকে অপহরণ করে ঢাকার ড্রাগ লর্ড আমির আসিফ। তাকে উদ্ধার করতেই ঢাকায় অভিযানের জন্য ভাড়া করে আনা হয় সিনেমার মূল চরিত্রে অংশ নেওয়া জনপ্রিয় অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থকে

এরপর চলে তার দুঃসাহসিক যাত্রা। যে যাত্রায় মুক্ত হয় অভি মহাজন। আর মুক্ত করার পরেই একজন সামান্য কিশোর গ্যাংয়ের গুলি খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ক্রিস হেমসওয়ার্থ। সিনেমাটিতে এমন কিছু অসামঞ্জস্য বিষয় আর ভুল তথ্যের কারণেই মূলত শুরু হয় সমালোচনা।

যেখানে পুরো এক্সট্রাকশনের ঘটনা প্রবাহ ছিলো ঢাকাতেই সেখানে শুধুমাত্র কয়েকটি স্থানের ড্রোন শট নিয়ে তা যুক্ত করা হয় ঢাকায় অভিযানের সঙ্গে মিল রাখার জন্য। আর বাকি সবগুলো শট নেয়া হয় ভারত ও থাইল্যান্ডে। শুধু তাই নয়, নানা কারণে দৃশ্য ধারণের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিলেও ঢাকায় অভিযানের সময় যেভাবে এলিট বাহিনী ও সৈনিকদের একের পর এক মেরে ফেলার দৃশ্য গল্পে তুলে ধরা হয়েছে তাতে করে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে।

কারণ ঢাকায় বা গোটা বাংলাদেশে এমন কোনো মাফিয়া ডন কিংবা স্মাগলার নেই বা ছিলোনা যার নির্দেশে ঢাকা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী চলতো। মাফিয়া কর্তৃক অপহরণ করার পর সেই ছেলেটিকে যাতে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পুলিশ-সেনাবাহিনী ব্যবহার, কিশোর বাহিনী গঠন ও তাদের হাতে বন্দুক তুলে দেয়া ইত্যাদি অসঙ্গতিপূর্ণ এবং বাংলাদেশের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে করে কঠোর সমালোচনায় এখন এক্সট্রাকশন।

এছাড়াও বাংলা শব্দ ভুল উচ্চারণ এবং একটি দুটি নয় কয়েকটি ঘরে প্রবেশের সময় হিন্দি গান শোনা অবস্থায় দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। যা দিয়ে বোঝানো হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ বাংলা গানের চেয়ে হিন্দি গান বেশি পছন্দ করে। এমন আরও নানা ভুল খুঁজে খুঁজে বের করেছে ভিউয়ারস ও ইউটিউবাররা।

বাংলাদেশকে অনেকটা দুর্বলভাবে উপস্থাপনের এক্সট্রাকশন মুভি নিয়ে এখন তুমুল সমালোচনায় মুখর নেট দুনিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশি অনেক তারকাও এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *