fbpx
হোম আন্তর্জাতিক আলজেরিয়ায় ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা; বিক্ষোভে উত্তাল
আলজেরিয়ায় ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা; বিক্ষোভে উত্তাল

আলজেরিয়ায় ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা; বিক্ষোভে উত্তাল

0

এবার আলজেরিয়ায় ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির বিভিন্ন শহর। নারীর প্রতি সহিংসতা রুখতে অনেকগুলো শহরে চলছে এই বিক্ষোভ।

রাজধানী আলজিয়ার্সের থেকে ৮০ কিলোমিটার পূর্বে থেনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একটি নির্জন পেট্রোল স্টেশন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মাসের শুরুতে সাইমা সাদুউ নামে ১৯ বছরের এক তরুণী অপহরণের শিকার হন। ধর্ষণের পর তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।

ফেমিসাইড আলজেরিয়া নামে একটি সংগঠন জানায়, চলতি বছরে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত সহিংসতার শিকার হয় ৩৮ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। আগের বছরে এ সংখ্যা ছিল ৬০। তবে প্রতি বছর অনেক বেশি নারী সহিংসতার শিকার হয়, যেসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসে না বা নথিভুক্ত হয় না।

আরব নিউজ জানায়, এ ঘটনার অভিযুক্ত রায়ান নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইমাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে সে। ২০১৬ সালেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেছিল ভুক্তভোগীর পরিবার।

এমন পরিস্থিতিতে আলজিয়ার্স, ওরানসহ একাধিক শহরের নারীরা রাস্তায় নেমে আসে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন পুরুষরাও। বিক্ষোভে বাধা দিয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেন সাইমা। তার নামে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার প্রদর্শন এবং স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘আই এম সাইমা’ প্রতিবাদ চালাচ্ছেন এক্টিভিস্টরা। নারী সহিংসতার জন্য তারা সরকারকে দায়ী করছেন।

আলজিয়ার্সে বিক্ষোভকারী এক নারী বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা দেয় না সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা আইনে থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে নির্যাতনকারীদের ক্ষমা করা দেয়ার জন্য বলে সরকার, সে ভাই, বাবা বা যেই হোক না কেন।’

তিনি বলেন, নারীরা অভিযোগ করলে তার সমাধান বা রায় পাওয়ার জন্য তিন থেকে চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। এটি কোনোভাবে মেনে যায় না।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *