fbpx
হোম আন্তর্জাতিক আরব আমিরাত তুরস্কে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে
আরব আমিরাত তুরস্কে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে

আরব আমিরাত তুরস্কে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে

0

তুরস্কে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের (এমবিজেড) তুরস্কে সফরের সময় এ ঘোষণা এলো।

আবুধাবি ডেভেলপমেন্ট হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আল সুওয়াইদির স্থানীয় সময় বুধবারের বিবৃতির বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত তুরস্কে বিনিয়োগের জন্য ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৮৫ হাজার ৮৭৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা) তহবিল বরাদ্দ করেছে।

যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের (এমবিজেড) আঙ্কারা সফরের সময় বুধবার তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত বেশকিছু সহযোগিতামূলক চুক্তি সই করেছে। এ দিন এমবিজেড আঙ্কারা আসেন, তাকে অভ্যর্থনা জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।

২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম সরকারি সফরে তুরস্ক এলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ। যাকে আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো নেতা ও দেশটির পররাষ্ট্র নীতির নির্ধারক মনে করা হয়।

বাণিজ্য, জ্বালানি এবং পরিবেশসহ একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সমঝোতার পাশাপাশি তুরস্কে সরাসরি বিনিয়োগের বিষয়েও চুক্তি হয়।

এদিন আবুধাবি ডেভেলপমেন্ট হোল্ডিং কোম্পানি পিজেএসসি (এডিকিউ), সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পদ তহবিল (টিডব্লিউএফ) ও প্রেসিডেন্টের বিনিয়োগ কার্যালয়ের চুক্তি সই হয়। আবুধাবি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ ও তুরস্কের স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যেও চুক্তি সই হয়েছে।

এ ছাড়াও তুরস্কের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সম্প্রতি তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা নজর কেড়েছে আমিরাতের। বিশেষ করে দেশীয় প্রযুক্তিতে তুরস্ক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধাজাহাজ ও মনুষ্যবিহীন সামরিক যান তৈরি করেছে। দেশটির তৈরি করা বিভিন্ন অস্ত্র ইতোমধ্যে সাফল্য দেখিয়েছে। এসব কারণে আরব আমিরাত চাইছে তুরস্কের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে।

এদিকে তুরস্কের কর্মকর্তারা এমবিজেডের সফরকে ‘নতুন যুগের শুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

লিবিয়ায় আঙ্কারার স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে অর্থায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করে তুরস্ক। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। এ ছাড়া সিরিয়া ও কাতার নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *