করোনায় নতুন করে ৩৯ কোটি মানুষ দরিদ্র হতে পারে
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে তাতে ৩৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ নতুন করে চরম দরিদ্র হয়ে পড়তে পারেন। এর ফলে চরম দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১১০ কোটিতে। শুক্রবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএনইউ) ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলোপমেন্ট ইকোনমিক্স রিসার্চ (ডব্লিউআইডিইআর) ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব ব্যাংকের মানদণ্ড অনুযায়ী, চরম দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী তাদেরই বলা হয়, যারা দৈনিক ১ দশমিক ৯০ ডলার বা ১৬৩ টাকায় জীবন নির্বাহ করেন। দারিদ্র সীমার ওপরের দিকে বসবাসকারীদের ক্ষেত্রে এ হিসাব করা হয় দৈনিক ৫ দশমিক ৫০ ডলার বা ৪৮০ টাকা ধরে।
একই ধরনের সংকোচন হিসাব যদি দারিদ্রসীমার ওপরের দিকে বসবাসকরীদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয় তাহলে পুরো চিত্র অন্যরকম হয়ে যায়। সে হিসেবে পৃথিবীর ৩৭০ কোটি মানুষের বসবাস হবে দারিদ্রসীমার নীচে। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।
গবেষণা প্রতিবেদনটির অন্যতম লেখক অ্যান্ডি সামনার বলেন, প্রতিদিনের আয়ের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারগুলো দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দরিদ্রতম মানুষদের অবস্থা সামনের দিনগুলোতে আরও খারাপ হবে। ফলে দারিদ্রের হার কমানোর যে পদক্ষেপ এতদিন নেওয়া হয়েছে তার কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। বিশ্ব ২০ থেকে ৩০ বছর আগের সময়ে ফিরে যাবে। জাতিসংঘের নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যমাত্রা তখন ফাঁপা স্বপ্নে পরিণত হবে।
গত সোমবার বিশ্ব ব্যাংক বলেছিল, করোনা ভাইরাস মহামারি ৭ থেকে ১০ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্রতার মধ্যে ঠেলে দিতে পারে।