নিউজ অন এয়ার হলে সরকার থেকে বলা হচ্ছে- থামান
একটি নিউজ অন এয়ার করা হলে স্টাবলিশার (সরকার) থেকে বলা হচ্ছে- থামান ।
গণমাধ্যমের প্রচার, প্রকাশনায় বিধি নিষেধ আরোপ করে সরকারের চাওয়া পূরণ হবে না বরং প্রচার-প্রকাশ করতে দিলে স্টাবলিশার বা সরকার যা চায় তা পূরণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেশের বেসরকারি টেলিভিশনের দায়িত্বরত সিনিয়র সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা এই দাবি করেন ।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য অনেক ঝুঁকির দিকে আছে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা উন্নতির দিকে। ২০১৭ সালের গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ঝুঁকির তালিকায় ১৯ নম্বরে ছিল, ২০১৮ সালে কমে ২৫ নম্বরে আসে এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৩১ ধাপে উন্নীত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান এই ঝুঁকির তালিকায় ১০ এর ভেতরে রয়েছে। পশ্চিমা অনেক দেশের চেয়ে আমাদের ঝুঁকি কম।
জিটিভি ও সারাবাংলা ডটনেটের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, কোথায় জঙ্গি আটক বা গ্রেফতার হলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জেহাদি বইসহ যোদ্ধা আটক হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করলে জঙ্গিবাদকে এক ধরণের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
মাছরাঙ্গা টিভির হেড অব নিউজ রেজওয়ানুল হক রাজা বলেন, হলি আর্টিজানের সময় নিবরাজদের ৫ জনের হাসির ছবি অনেক মিডিয়ায় ছাপা হয়েছে। সেটা ছাপা ঠিক হয়নি। একজন ওয়াজে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী সুনাম ও নারী নেতৃত্ব বিরোধী কথা বলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেলেন। এটা নিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে।
এনটিভির বার্তা প্রধান জহিরুল আলম বলেন, মিডিয়ার নিজেদের পক্ষ থেকে বেশি কিছু করার থাকে না। কারণ আমরা নানা সংকটে থাকি। সিটিটিসি যদি মিডিয়ার জন্য গাইডলাইন তৈরি করে তাহলে ভাল হতো।