fbpx
হোম অন্যান্য ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা জারি করেছে ইউজিসি
৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা জারি করেছে ইউজিসি

৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা জারি করেছে ইউজিসি

0

দেশের ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ভর্তি মৌসুম সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতেই এ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

চিহ্নিত এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কয়েকটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ক্যাম্পাস চালানোর অভিযোগ আছে। কোনোটির বিরুদ্ধে আছে অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালানোর অভিযোগ। কয়েকটিতে আছে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া ইতিপূর্বে কয়েকটি বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার, কিন্তু আদালতের আদেশে ফিরে এসেছে। তবে এখনো শিক্ষা কার্যক্রম চালুর অনুমতি পায়নি। মালিকানা দ্বন্দ্বের অভিযোগও কয়েকটির বিরুদ্ধে। বন্ধের সুপারিশপ্রাপ্তও আছে কয়েকটি।

জানা গেছে, গণবিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ না থাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। কেননা, বাংলাদেশে এখনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা বৈধ নয়। সনদে স্বাক্ষরের দায়িত্ব ভিসির। তাই যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নেই সেগুলোতে সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৫টির কার্যক্রম চালু আছে। এরমধ্যে ৩০টির ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলো। এরমধ্যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে— ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, মানিকগঞ্জের এপিআই ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। শরীয়তপুরের জেডএইচ সিকদার বিশ্ববিদ্যালয় ও সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় অননুমোদিত প্রোগ্রাম চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।

সূত্র জানায়, এছাড়া ইবাইসে আছে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব। বর্তমানে এটি ঠিকানাবিহীন। মালিকানা দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা আছে আরো ৪টিতে। এগুলো হলো—সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

নানা অভিযোগে ২০০৬ সালে সরকার ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। পরে উচ্চ আদালতের রায় পক্ষে গেলে সেই আলোকে চলছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। ওই বছর কুইন্স নামে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ করা হয়েছিল। মামলার রায় নিয়ে এটিও পরিচালনার অনুমতি পায়। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে এটির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বলে ইউজিসি সূত্র জানায়।

নতুন অনুমোদনপ্রাপ্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রমই শুরু হয়নি। এগুলো হচ্ছে—ঢাকার সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ন একেএম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, রাজশাহীর আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশালের ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি কর্মকর্তারা জানান, অনুমোদন পাওয়ার পরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য অনুমতি নিতে হয়। এগুলো সেই অনুমতি পায়নি।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *