fbpx
হোম আন্তর্জাতিক হামাসের রকেটকেই সবচেয়ে বেশি ভয় ইসরাইলের
হামাসের রকেটকেই সবচেয়ে বেশি ভয় ইসরাইলের

হামাসের রকেটকেই সবচেয়ে বেশি ভয় ইসরাইলের

0

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ইসরাইল যেমন বিমান ও কামান হামলা বন্ধ করেছে, গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসও আর রকেট নিক্ষেপ করছে না। উভয় পক্ষই এখন তাদের লাভ ও ক্ষতির হিসাব কষছে। উভয় পক্ষই বিজয়ও দাবি করছে। হামাস দাবি করছে যে তাদের দুই শর্ত ইসরাইল মেনে নেয়ায় তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। শর্ত দুটির একটি হলো আল-আকসা মসজিদে আগ্রাসন বন্ধ করা, দ্বিতীয়টি হলো পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ বন্ধ করা। ইসরাইল অবশ্য শর্ত দুটি মেনে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদকে ধ্বংস করার নামে ইসরাইল গাজায় প্রায় ১৫ শ’ টার্গেটে আঘাত হেনেছে। আঘাত হানা ও ধ্বংসের দিক থেকে হামাসের রকেটের চেয়ে ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা অনেক বেশি কার্যকর ছিল। কিন্তু ইসরাইল তার আসল টার্গেট পূরণ করতে পেরেছে কিনা ওই প্রশ্ন জোরালো হয়ে ওঠছে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা হামাস ও ইসলামিক জিহাদের ২৫ সিনিয়র নেতা ও ২০০ অপারেটিভকে হত্যা করেছে। কিন্তু, তাদের এই দাবির সত্যতা কতটুকু তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের অন্যতম টার্গেট ছিল হামাসের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ দেইফ। এবারের যুদ্ধে তার ওপর অন্তত দুবার হামলা চালিয়েছিল তারা। কিন্তু তিনি রক্ষা পেয়েছেন।

যুদ্ধের শেষ দিকে হামাসের রকেট ও রকেট লঞ্চারগুলো বিশেষ টার্গেট ছিল ইসরাইলি বাহিনী। তারা ২৩০টি গ্রাউন্ড-টু-গ্রাউন্ড রকেট ও ৭০টি মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার ধ্বংস করার দাবি করেছে।

ইসরাইল পক্ষের দাবি, কিন্তু তবু হামাস ও ইসলামিক জিহাদের হাতে প্রায় ১৪ হাজার রকেট আছে। এগুলোর মধ্যে যেমন দূরপাল্লার রকেট আছে, স্বল্প পাল্লারও আছে।
গত ১১ দিনের লড়াইয়ে গাজা থেকে ৪,৩৬০টি রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করা হয়েছে ইসরাইলের দিকে। এগুলোর ৬৮০টি গাজা উপত্যকাতেই পড়ে, অন্য ২৮০টি পড়ে সাগরে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানে, ভবিষ্যতের যেকোনো সঙ্ঘাতে গাজা থেকে আসা রকেটই হবে ইসরাইলের হোম ফ্রন্টের জন্য প্রধান হুমকি। কারণ আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সত্ত্বেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলে আঘাত হেনেছে, প্রাণঘাতী ফলাফল সৃষ্টি করেছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *