fbpx
হোম জাতীয় সাভারে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ
সাভারে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ

সাভারে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ

0

সাভার থানাধীন আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর কাউন্দিয়া মৌজার পাওয়ার হাউজের বিপরীতে ট্রীমটেক্স টাওয়ার এর পিছনে ২ নং ডাইভারশনের বিভিন্ন মানুষের প্রায় ৬০০ শতাংশ জায়গা জবরদখল করে মিরপুর দারুস সালাম এলাকার স্থানীয় নেতা জনাব আলী আশরাফ ইফতেখার ও উনার পার্টনার আব্দুল হাই এবিসি ব্রিকস্ ও হোম ব্রিকস্ নামক অবৈধ ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছেন। জমির প্রকৃত মালিকগন সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করলে আলী আশরাফ ইফতেখার উনার লোকজন দিয়ে পিলার উঠিয়ে ফেলেন এবং জমির মালিকগনকে নানা ভাবে হুমকী ধমকী ও ভয় ভীতি দেখান যাতে উনারা জমির কাছে আসতে না পারেন। এ ব্যাপারে সংশ্লষ্টি থানার এসি ল্যান্ড এবং প্রশাসন কে অবহতি করা হয়ছেে কিন্তু কোন সুরাহা হয় নাই। বরং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন অমান্য করে অপরাধ করে যাচ্ছ। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এর আওতায় পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই জবরদখলকারিরা ইট ভাটা পরচিালনা করে আসছে। উল্লেখ্য যে জনাব আলী আশরাফ ইফতেখারের উনার নিজস্ব এক শতাংশ জমিও সেখানে নেই। উনি তার বোনরে ১৫৬ শতক জমি ছাড়াও অন্যান্য মানুষের জমি প্রায় ৬০০ শতাংশ (আরএস দাগ নং ৬২১১,৬২১২,৬২২১,৬২১৩,৬২১৪,৬২১৫) জোরপূর্বক দখল করে ইট ভাটা পরিচালনা করছেন এবং এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। জমির মাটি উত্তোলন করে ইট ভাটায় কাঠ ও কয়লা পোড়ানোর ফলে বাতাসে গ্যাস ছড়িয়ে জীবনঘাতি পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে উক্ত জায়গায় ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া নামে একটি প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটি, একটি মাদরাসা এবং কয়েকটি অফিস অবস্থিত। কিন্তু জনাব আলী আশরাফ ইফতেখারের অবৈধ ইটভাটার কারনে সেখানকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে এবং ইউনিভার্সিটির ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা মারাত্মক স্বাস্থঝুঁকিতে আছে।
জমির মালিকদের মধ্যে ৬২২১ দাগের জনাব ডাঃ আকরাম উল্লাহ্ শিকদার, জনাব কাজী আহমদ ফারুক, ৬২১২ দাগের জনাব মুসাদ্দিক আহমেদ, জনাব ডঃ আবু ইউসুফ, জনাব জাহাঙ্গীর হোসাইন, ৬২১৩ দাগের নাজমুন নাহার খান, ৬২১৪ দাগের জনাব বদরুল হক, ব্যারিষ্টার এএসএম সাইম উদ্দীন খন্দকার, জনাব একেএম শহীদুল হক, ৬২১৫ দাগের ব্যারিষ্টার মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান সহ আরো অনেকে একাধিক বার জমির দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানালেও উনি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জমির মালিকগন কে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। জমির মালিকদের মধ্যে জনাবা নাজমুন নাহার, জনাব এ এস এম সাইম উদ্দিন খন্দকার, বদরুল হক জনাব আলী আশরাফ ইফতেখার সাহেবের নিকট লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন কিন্তু তিনি এতে কর্নপাত করেননি। জনাব মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ জুবিশিয়ারীর একজন সাবেক জজ এবং বর্তমানে লন্ডনে ব্যারিষ্টার হিসাবে কর্মরত আছেন। উনার ৭ কাঠা জমিও জনাব আলী আশরাফ ইফতেখার সাহেব অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন। ৬২১২ দাগে জনাব ডঃ আবু ইউসুফ মাদ্রাসা করার জন্য জনাব আবু সাঈদ গংদের নিকট থেকে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করেছেন। উক্ত জমি গত ১৭/০৬/২০২৩ইং তারিখে জনাব আবু সাঈদ গং জমির সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করেন কিন্তু জনাব আলী আশরাফ ইফতেখার ও উনার লোকজন জায়গার সীমানা পিলার তুলে ফেলেন।
এমতাবস্থায় জমির মালিকগন আলী আশরাফ ইফতেখার, উনার লোকজন ও তাদের জমি দখলমুক্ত করার জন্য এবং সেখানকার পরিবেশ রক্ষার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
1

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *