সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মামলা নিষেধ
এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে কোনো মামলা আমলে নেয়ার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
এবিষয়ে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আইন ও বিধি-বিধানে থাকা এমন নিয়ম মনে করিয়ে দিয়ে তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে (৮ সেপ্টেম্বর) এই চিঠি পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, সব মন্ত্রণালয়ের সচিব/সিনিয়র সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে এই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক/জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/কালেক্টর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারি কর্মচারীদের সরকারি দায়িত্ব পালনে কৃতকাজের জন্য তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে মামলা রুজু করা হচ্ছে।
বলা হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমোদন নেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা প্রতিপালিত হচ্ছে না। এতে করে আইনের ব্যত্যয় ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ/দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ প্রায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জুডিশিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৮৫০’ এর সেকশন-১-এ কোনো জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা কালেক্টরকে তার বিচারিক প্রকৃতির কার্যক্রম বা দেয়া কোনো আদেশের কারণে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করে দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করা যাবে না বলে উল্লেখ রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’ এর ১৪ ধারায় রয়েছে যে, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত বা কৃত বলিয়া বিবেচিত কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে, তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সহিত সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করিতে পারিবেন না।