সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে : এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্টে এরদোগান বলেছেন, দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে হুমকিমূলক সব সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে তুরস্ক লড়াই অব্যাহত রাখবে। ১৫ জুলাই তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা প্রতিরোধের পঞ্চমতম বার্ষিকী স্মরণে বুধবার ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) পার্লামেন্ট সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠকে বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি। এরদোগান তার ব্ক্তব্যে আরো বলেন, দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই হোক না কেন, তাদের অক্ষম করার সামর্থ্য ও ইচ্ছাশক্তি তুরস্কের আছে। বহির্বিশ্বে তুর্কি কূটনীতিক মিশনে সামরিক শক্তি জোরদার করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সীমানার বাইরে যেখানেই হুমকি রয়েছে, সেখান থেকেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুরু হবে। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই রাতে তুরস্কে সামরিক বাহিনীরক্ষুদ্র একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে।
ঘটনার পরপরই অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে তুরস্কের শহরগুলোর রাস্তায় নেমে পড়ে গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে অভ্যুত্থানকারীরা আক্রমণ করলে ২৫১ জন নিহত ও অন্তত দুই হাজার দুই শ’ জন আহত হয়। তুর্কি জনতার বিক্ষোভের মুখে শেষে অভ্যুত্থানকারীরা আত্মসমর্পণ করে। তখন থেকে তুরস্কে ১৫ জুলাই দিনটি গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমানার বাইরে যেখানেই হুমকি রয়েছে, সেখান থেকেই আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুরু হবে।’ আনাদোলুর খবরে বলা হয়, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ৭৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে তুরস্কের স্টার্টআপগুলো।
দেশটির প্রায় ৬৩টি স্টার্টআপ এ বিনিয়োগ পেয়েছে। এ পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে তুরস্ক ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ইতালিসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশকে পেছনে ফেলেছে। দেশটির শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মুস্তাফা ভারানক বলেন, প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এ বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে দেশের ১২৯টি স্টার্টআপ ১৩০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পেয়েছিল। ডেইলি সাবাহ, আনাদোলু এজেন্সি।