সংগীত পরিচালক আলম খান মারা গেছেন
মারা গেছেন বাংলা গানের কিংবদন্তী সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে আরমান খান। আলম খানের আরেক পরিচয় তিনি পপসম্রাট আজম খানের বড় ভাই।
বাবার মৃত্যুর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টও করেছেন আরমান খান। তিনি লিখেছেন, আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে! ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! তার ছেলে জানান, আজ বাদ আসর এফডিসিতে আলম খানের জানাজা হবে।
১৯৪৪ সালে সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলম খান। তার বাবার নাম আফতাব উদ্দিন খান। যিনি পেশায় সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ছিলেন। মা জোবেদা খানম ছিলেন গৃহিণী।
আলম খান ১৯৭৬ সালে হাবিবুননেসা গুলবানুকে বিয়ে করেন। গুলবানু একজন গীতিকার। দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তাদের। ছেলে আরমান খান ও আদনান খান—দুজনই সংগীত পরিচালক। একমাত্র মেয়ে আনিকা খান। ২০১১ সালে আলম খানের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন দেশ–বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।
‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস’, ‘চাঁদের সাথে দেব না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’ সহ অসংখ্যা জনপ্রিয় গানের সুরকার আলম খান । ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ‘কি জাদু করিলা’ ছবির জন্য।