শুরু হল বাঙালির শোকের মাস
জীবনের অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত অবিচল মানুষটি মন্ত্রোচ্চারণের মত বারবার বলেছেন, আমার দেশের মানুষকে আমি ভালবাসি, তারাও ভালোবাসে আমাকে। বাঙালির পরম এই স্বজনকে তবুও রক্ত দিতে হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীদের নীল নকশায়। কিংবদন্তী অধিনায়কের চলে যাবার আগস্ট তাই তীব্র ভাবে বেদনার-শোকের।
ভালবাসাই জীবনের পরম আরাধ্য। ব্যক্তিগত বিত্ত-বৈভবের জন্য নয়, দেশ-মাটিকে ভালবেসে জীবন-মরণকে একই সীমানায় নিয়ে এসেছিলেন তিনি। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে প্রথম জেল জীবন। তারপর, কতশত কষ্টই না সয়েছেন তিনি।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, পাকিস্তানী বন্দীদশা, কত ভাবেই না বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে বিপন্ন করার চেষ্টা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ভালবাসার মন্ত্রটাই শুধু জানতেন। দেশপ্রেম ছিল তার হৃদয় বৃত্তির সবচেয়ে বড় ধন। দেশ প্রেমের তৃষ্ণা বুকে নিয়ে এক অপার চাঞ্চল্যে সর্বদাই ছটফট করতেন। তার বুকে অসীম জিজ্ঞাসা এসে ভিড় করতো, তিনি কঠোর আন্দোলনের পথই বেছে নিলেন।
এত কিছুর পরেও, সেই অন্ধকার , সেই বিভীষিকাময় রাত এলো বাঙালি জীবনে। যে মানুষটি সারা বাংলাদেশকে আবৃত করে পর্বতের মত দাঁড়িয়েছিলেন তাকে হত্যা করা হল। বিপন্ন হল মানবতা, জয়ী বাঙালির পরাজয়ের সূচনা সেখান থেকেই।
বঙ্গবন্ধু গবেষক মোনায়েম সরকার বলেন, বাঙালির ভালোবাসার কাঙাল বঙ্গবন্ধু। সে ভালবাসার মানুষটাকে পাকিস্তানিরা মারতে সাহস পায়নি। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার বিদেশির চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো, এটাই দুঃখজনক। তাদের হাত কাঁপলও না।
পাহাড়ের ছবি কাগজে আঁকা যায়, আবার মুছেও ফেলা যায়, তবে বাঙালির সিথানে যে হিমালয় দাড়িয়ে, তাকে মুছে ফেলে এমন শক্তি কোথায়।