fbpx
হোম জাতীয় শহীদ নূর হোসেন দিবসে স্মৃতি সংক্ষণের দাবি
শহীদ নূর হোসেন দিবসে স্মৃতি সংক্ষণের দাবি

শহীদ নূর হোসেন দিবসে স্মৃতি সংক্ষণের দাবি

0

১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে প্রতিবাদে অংশ নেন নূর হোসেন।

সেদিন জনতার মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালানো হলে নূর হোসেন শহীদ হন ঢাকার রাজপথে। তাঁর সেই আত্মত্যাগের পথ ধরেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়, স্বৈরাচারীর পতন হয়।

কিন্তু দীর্ঘ ২৩ বছরেও নূর হোসেনের পৈত্রিক ভিটায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তাঁর স্মৃতি রক্ষার। তাই আজ দিবসটিতে এলাকাবাসীর দাবি, পৈত্রিক ভিটায় নূর হোসেনের স্মৃতি রক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জীবন দেওয়া শহীদ নূর হোসেনের পৈত্রিক ভিটা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নিভৃত পল্লী সাপলেজা ইউনিয়নের ঝাঁটিবুনীয়া গ্রামে। সেখানে জ্বরাজীর্ণ বাড়িতে এখন বসবাস করছেন তাঁর বংশধররা।

এলাকাবাসীর আক্ষেপ, পৈত্রিক ভিটায় তাঁর স্মৃতি সুরক্ষায় আজো গড়ে ওঠেনি কোনো স্মৃতিস্তম্ভ। মঠবাড়িয়া শহরে কোনো চত্বর কিংবা ম্যুরালও নির্মিত হয়নি। প্রতিবছর নূর হোসেনের গ্রামের বাড়িতে একটু মিলাদ আলোচনা সভা ছাড়া আর কোনো কর্মসূচিও পালিত হয় না।

নূর হোসেনের পৈত্রিক ভিটায় বর্তমানে বসবাস করছেন তাঁর চাচাত ভাই রুহুল আমীন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই গণতন্ত্রের জন্যই জীবন দিছে। কিন্তু তাঁর পৈত্রিক ভিটায় শহীদ ভাইয়ের স্মৃতি রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা আজো হইল না।’

শহীদ নূর হোসেন স্মৃতি পরিষদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূরুল আমীন রাসেল বলেন, আমরা গর্বিত যে শহীদ নূর হোসেন আমার আপন জনপদের কৃতি সন্তান। তারুণ্যের অহংকার। অধিকার আদায়ে যুগে যুগে এমন সাহসী তরুণরাই বুকের রক্ত দিয়েছে। শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতিবিজড়িত মঠবাড়িয়া স্মৃতি রক্ষার দাবি সকল স্তরের মানুষের।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *