fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা লালমনিরহাটে জুয়েল হত্যার ঘটনায় রাজু মিয়া জেল হাজতে কেন ?
লালমনিরহাটে জুয়েল হত্যার ঘটনায় রাজু মিয়া জেল হাজতে কেন ?

লালমনিরহাটে জুয়েল হত্যার ঘটনায় রাজু মিয়া জেল হাজতে কেন ?

0

লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে আগুনে পুড়িয়ে জুয়েল হত্যার ঘটনায় নতুন করে অভিযোগ উঠেছে মিথ্যা মামলার।

২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ পুড়ানোর ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় তিনটি মামলায় ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে সহস্রাধিক আসামী করা হয়েছে।পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান অভিযোগের পরের দিন পাটগ্রাম থানা এসআই সাজাহান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

এরপর সন্দেহজনক ৪/৫ জনকে আটক দেখিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। ঘটনার দু’দিন পর ৩১ অক্টোবর পাটগ্রামে প্রশাসন বনাম ঈমাম মুয়াজ্জিনদের একটা বৈঠক হয়। সচেতনতামূলক ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঁয়া, ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এরপর বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান নিশাত বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামী আছে মর্মে পরিষদ ভবন ভাংচুর একটি মামলা করেন।

ওইদিন রাতে নিহত জুয়েলের চাচাতো ভাই সাইফুল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলাও করেন। এসব মামলা তদন্ত করছেন লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ। এ পর্যন্ত তিন মামলায় ৪০ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। ৫ জন আসামী স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আদালতে। কিন্তু রাজু মিয়া নামে একজনকে জেল হাজতেেআটকে রাখলে অভিযোগ উঠে মিথ্যা মামলায়।

জানা যায়,৩১ অক্টোবর প্রশাসনের বড় কর্তাদের সামনে পাটগ্রাম বড় মসজিদের পেশ ঈমাম শামসুদ দোহাকে বক্তব্য দিতে বলায়, ঈমাম সাহেব জানান সেদিন তিনি দু’জন লোক মারফত ঘটনাটা জানতে পারেন। বলেন, আমাকে মোবাইলে রাজু নামে একজন জানান, একবার ৬’৩৮ আরেকবার ৬’৪১ মিনিটে অর্থাৎ দু’বার কল করে আমাকে বলা হয় ফেসবুক দেখছেন। বুড়িমারীতে কি যেন ঘটছে, জানেন কি ? আমি বলেছি জানি না। দেখব এখন পরে।

এরপর ইমাম সাহেব বাজারে গেলে সেখানে অপরিচিত একজন ইমামকে বলেন, বুড়িমারীতে যে ঘটনা ঘটছে জানেন হুজুর ? তিনি তখন জবাবে বলেছেন, বিশ্বাস করি না। তখন ওই লোকটা ইমামকে কাফের বলে গালিগালাজও করেন বলে জানা যায়।

তিনি বলেন সেদিনের ঘটনাটি বিশ্বাস করিনি বলে বাজারে এক লোক তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। রাজু নয়, রাজু’র জন্য এখন হুজুরও অনুতপ্ত। পুলিশের একটি সুত্র মতে, রাজুকে তার দোকান থেকে ফার্নিচার কেনার কথা বলে থানায় নিয়ে যান ডিবির এসআই সবুর। উপর মহলের আদেশে তাকে ধরা হয়েছে। তাকে ধরার আগে লোকেশন ট্রেস করা হয়নি।

ভেরি ডেঞ্জারাস বুড়িমারীর ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭ টায় মুক্তিযোদ্ধা খবির উদ্দিনের বাসায় রাজু ও তার প্রতিবেশী বন্ধু আবুদ্দিন ছিলেন এমন তথ্য মিলেছে। সেদিন রাজু বুড়িমারীতে যায়নি। ঘটনাস্থল বুড়িমারী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পাটগ্রাম উপজেলা সদরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী রাজু মিয়ার দোকান পাটগ্রাম কেন্দ্রিয় বড় মসজিদের পাশে সিনিয়র এপি মাদ্রাসার সামনে কাঠের ফার্নিচার দোকান। তার গ্রামের বাড়ি কালীগঞ্জ ভোটমারী মদাতি ইউনিয়নে হলেও বাবা ইয়াকুব আলী মরার আগেই রাজু মিয়া কাজের সন্ধানে পাটগ্রামে চলে আসেন। এক সময় বিয়ে করেন। তার স্ত্রী সুমি বেগম জানান, তাদের দুই মেয়ে এক ছেলে। ঘরে ক্যান্সারে আক্রান্ত সুমির মা রাজু’র শ্বাশুড়ী লাইলী বেগম মৃত্যু পথযাত্রী। প্রায় ২০ বছর ধরে বসবাস করেন পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের রেলগেট এলাকায় শ্বশুড় সফিকুল ইসলাম বাঘারবাড়ি সংলগ্ন একটিঘরে।রাজু মিয়া না থাকায় তাদের সংসার এখন অচলাবস্থা।

পাটগ্রাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতি’র সভাপতি সায়েদুজ্জামান সায়েদ ও পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র শমসের আলী স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রে দেখা যায়, রাজু মিয়া একজন সহজ সরল ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী বা সমাজ বিরোধী কোন অভিযোগ নেই। এলাকাবাসী রাজু’র মুক্তি দাবি করেন বলে জনপ্রতিনিধিরা জানান।

এঘটনায় পাটগ্রাম থানা ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, গত ৬ নভেম্বর রাজু মিয়াকে ডিবি পুলিশ ধরেছে। এসব মামলার তদন্ত গ্রেফতার স্থানীয় থানা পুলিশের এখতিয়ার নেই। রাজুকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ডিবি ইন্সপেক্টর ওমর ফারুখ জানান, রাজু নামের আসামী লোকটা সেদিন বুড়িমারীতে যায়নি। নিরাপরাধ মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা তথ্য দেন পরে আমরা যাচাই বাছাই করে দেখব। জেলা প্রশাসন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে জানা গেছে, বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননা বা ধর্ম অবমাননার কোন ঘটনা ঘটেনি।

জুয়েল হত্যা ঘটনার বিস্তারিত জানুন নিচের লিংক থেকে…https://www.youtube.com/watch?v=y86BSYXMRlQ&list=PLCOUM8g7FtpT5SbSlanm0XlyaRBaceaxh&index=67

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *