fbpx
হোম আন্তর্জাতিক মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক জেড প্রজন্ম’র !
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক জেড প্রজন্ম’র !

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক জেড প্রজন্ম’র !

0

সম্প্রতি নিজেদেরকে ‘সেনাবিরোধী নতুন শক্তি’ হিসেবে ঘোষণা দেয়া একটি দলের প্রকাশিত ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মিয়ানমারের সেনা শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অন্তত ১২০ তরুণ সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে তারা সেই ভিডিওতে জানান।

মিয়ানমারের ভাষায় ‘জনগণের জন্যে লড়াই’য়ে তাদের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। সেখানে আরও দেখা যায়, ভোরের আলোয় তরুণরা একটি বনাঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মন মন বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র জানিয়েছে, ইউনাইটেড ডিফেন্স ফোর্স নামের এই বাহিনীটি বানানোই হয়েছে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের নিয়ে, দমনপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে যারা পালিয়ে এসেছেন।

মোন মোন আরও বলেন, আমরা এখানে তিন মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি, আমাদের সবারই একটাই লক্ষ্য, বিপ্লব। এখানে আসা বেশিরভাগেরই বয়স ২০ এর ঘরে, বেশিরভাগই ছাত্র। ৩৫, ৪০ বছরেরও অনেকে আছেন, তবে সবচেয়ে বেশি জেড প্রজন্মের। প্রশিক্ষণে ২০ নারীসহ প্রায় আড়াইশ জন অংশ নিচ্ছেন। মিয়ানমারজুড়ে তাদের সংগঠনের সদস্য প্রায় এক হাজার বলেও দাবি করেছেন তিনি।

গত শতকের শেষ দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে চলতি শতকের প্রথম দশকে জন্ম নেয়াদের অনেক গণমাধ্যমেই ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেড প্রজন্ম’ ডাকা হয়।মোন মোন নতুন বাহিনী হিসেবে ইউনাইটেড ডিফেন্স ফোর্সের আত্মপ্রকাশের কথা জানালেও বাহিনীটির কর্মকাণ্ডের ধরন স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

মোন মোন জানিয়েছেন, যে তরুণরা সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাদের অনেকেই অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের সামনের সারিতে ছিলেন; গুলতি, এয়ারগান আর হাতে বানানো ঢাল নিয়ে লড়েছিলেন যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত সেনাদের বিরুদ্ধে।

অবশ্য তাদের দেয়া ভিডিওতে ব্যায়াম ও শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের দৃশ্য থাকলেও অস্ত্র নিয়ে প্রশিক্ষণের কিছু দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ভিডিওতে যুদ্ধের পোশাক পরা একজনকে তরুণদের ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ দিতে দেখা গেছে। এসময় বেশিরভাগ প্রশিক্ষণার্থীর পরনেই ছিল কালো পোশাক।

‘কি করছো তোমরা?’ এমন প্রশ্নের জবাবে তরুণদের সম্মিলিতভাবে ‘আমরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছি’ বলতে শোনা গেছে। ‘কেন করছো?’, ‘কাদের জন্য?’ এসবের উত্তর এসেছে- ‘যুদ্ধ করতে’, ‘জনগণের জন্য’।

মোন মোন জানান, তাদের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা খুব বেশি না হওয়ায় লড়াইয়ে বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কিংবা জান্তাবিরোধী ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সহযোগিতা দরকার হবে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *