fbpx
হোম আন্তর্জাতিক মার খাচ্ছিলাম আমি,আর বিজেপি নেতারা বসে বসে মজা দেখছিলেন
মার খাচ্ছিলাম আমি,আর বিজেপি নেতারা বসে বসে মজা দেখছিলেন

মার খাচ্ছিলাম আমি,আর বিজেপি নেতারা বসে বসে মজা দেখছিলেন

0

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক নিয়ে নতুন করে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বাবুল। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যান চ্যান্সেলর জগদীপ ধনখড়। সেই পুরো ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতাদের তোপ দাগলেন বাবুল। তিনি বললেন, সেদিন তো কোনো বিজেপি নেতা এগিয়ে আসেননি। বাড়িতে বসে মজা দেখছিলেন সবাই। দেখছিলেন, বাবুল কেমন মার খাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এবিভিপির একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে খুব সাধারণ ভাবে গিয়েছিলাম। মন্ত্রী হিসেবে যাইনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেস্টে কতবার গাইতে গিয়েছি। তাই সাধারণ নিয়মেই গিয়েছি। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা আমাকে আক্রমণ করেছিল। ওরা অবশ্য বাবুল সুপ্রিয়কে আক্রমণ করেনি, করেছিল আমার রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু আমি মাঠ ছাড়িনি। কই একজনও বিজেপির নেতা তো আসেননি সে সময়ে। উল্টো সিপিএম-তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর করে আমাকে অস্বস্তিতে ফেলা হয়েছিল।

সে দিনের ঘটনার পর একটি ছবি উঠে আসে, যেখানে একটি বন্দুকের ম্যাগজিন মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাই নিয়ে বাবুল বললেন, ‘আমার সাথে তো জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। ওদের একটি বন্দুকের ম্যাগজিন খুলে পড়ে গিয়েছিল। সেটা নিজে এসে ফেরত দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি। ওর সাথে আমার একটা ছোট তর্ক হয়েছিল। আমি ভিসিকে বলেছিলাম, যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে চাই। ভিসি আমাকে বলেছিলেন, দোতলায় উঠে ওর সাথে বসতে। আমি যেতে চাইনি।

তবে বাবুল স্বীকার করেছেন, সে দিনের ঘটনাক্রমে তিনিও উত্তেজিত হয়েছিলেন। সামান্য তর্কও হয়েছিল ভিসি সাথে।
তবে তিনি বলেন, যাদবপুরে কোনো ভুল তিনি করেননি। চুল টানার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বাবুলের মন্তব্য, ‘ওই ছেলেটা, যে আমাকে চুলের মুঠি ধরে মেরেছিল, তার ছবি, পরিচয় সব আমার কাছে আছে। ঘটনার পরের দিন ওই পড়ুয়ার মা আমাকে ফোন করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, ওকে যেন ক্ষমা করে দেই। আমি তো আজ পর্যন্ত কোনো পুলিশে অভিযোগ করিনি। ক্ষমা করেছিলাম। কী হলো? শতরূপ ঘোষ, ওই বামপন্থীর! তিনি ছেলেটাকে বসিয়ে বললেন, যতবার বাবুল-সুপ্রিয় আসবে, ততবার চুলের মুঠি ধরে টানবে। সাক্ষাৎকারে বামদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও একটি প্রশ্ন এসেছিল। শতরূপ প্রসঙ্গ টেনে বাবুল বললেন, এই জন্যই বামদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *