fbpx
হোম গণমাধ্যম বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন না করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

0

‘নীতিহীন সাংবাদিকতা কোনো দেশের জন্যই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। জাতি বিভ্রান্ত হয় এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করবেন না’- সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমনই আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৫ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে দেয়া প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমন রিপোর্ট করবেন না যেটা মানুষের মধ্যে বা সমাজে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় বা মানুষ বিপথে যায়। সেদিকেও আপনাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

সাংবাদিক সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বলবো দায়িত্বশীলতা নিয়ে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করবেন। কারণ, আপনাদের রিপোর্টগুলো অনেক কাজে সহযোগিতা করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক সময় অনেক ঘটনা আসে সেসব রিপোর্ট পড়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেক অসহায় মানুষের পাশে যেমন দাঁড়াই, আবার অন্যায় ঘটনা ঘটলে তার প্রতিকারও করতে পারি। অনেক দোষীকে শাস্তি দিতে পারি এবং দিয়ে থাকি।’

এ সময় তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় আপনারা অনেক ঝুঁকি নিয়ে রিপোর্ট করেন সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

নীতিহীন সাংবাদিকতা পরিহারের জন্য জাতির পিতার এক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকতায় আমরা নিরপেক্ষতা চাই, বাস্তবমুখীতা চাই এবং দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্যবোধ থেকে যেন এটা হয় সেরকমই আমরা চাই। নীতিহীন সাংবাদিকতা কোনো দেশের কল্যাণ আনতে পারে না, বরং ক্ষতি করে।’

সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের দর্পণ যেটা হবে, সেটা চিন্তা চেতনায় ও দেশপ্রেমে যেন উদ্বুদ্ধ হয়। তাদের ভেতর মানবতাবোধ যেন থাকে। তারা যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে যা রিপোর্ট হচ্ছে বা আমরা খবর পাচ্ছি, কোথাও কোনো দুর্নীতি বা অন্যায় হলে, আমরা কিন্তু এটা চিন্তা করি না- এর পেছনে আমাদের দল জড়িত, এখানে সরকার কিংবা দলের বদনাম হবে। আমরা চিন্তা করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে, এটা নিতে গেলে অনেক সময় দোষটা আমাদের ওপর এসে পড়ে। অনেকে বলে আওয়ামী লীগ সরকারই বুঝি দুর্নীতি করছে, ঘটনা কিন্তু তা নয়। কারণ, দুর্নীতির বীজ বপন করে গেছে ’৭৫ এর পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলো।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে জিয়াউর রহমান, এরপর এরশাদ, এরপর খালেদা জিয়া। তারা দুর্নীতিকে কেবল প্রশ্রয়ই দেননি বরং নিজেরাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং দুর্নীতিকে লালন-পালনই করে গেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা কিন্তু সেটা করছি না।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংস্থাটির রজত জয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে সংগঠনটি বর্তমান ও অতীতের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *