বিভিন্ন দেশে নকল টেস্ট কিট বিক্রি করেন ফ্র্যাঙ্ক লউডলো
বিপজ্জনক ঔষধ সামগ্রী দিয়ে নিজের ঘরে করোনার নকল টেস্ট কিট বানিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করে ভালোই অর্থ কামাচ্ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক লউডলো। একেকটি কিট বানাতে তার ব্যয় হতো ১ পাউন্ডেরও কম। আর অনলাইনে একেকটি বিক্রি করতেন ১ পাউন্ড থেকে ১শ পাউন্ডের বিনিময়ে। ইউকেসহ আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছিল এই নকল কিটের ক্রেতা।
কিন্তু আমেরিকায় এক ক্রেতার কাছে নকল টেস্ট কিট পাঠিয়ে ধরা খান তিনি। গত ১৮ মার্চ লস এঞ্জেলেসে মার্কিন কাস্টমস এবং বর্ডার প্রোটাকশন এজেন্সির নজরে আসে বিষয়টি। সন্দেহভাজন টেস্ট কিটের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন। এরপর অনুমোদনহীন এই নকল টেস্ট কিট বিক্রেতাকে ধরতে মাঠে নামে সিটি অব লন্ডনের পুলিশ এবং মার্কিন গোয়েন্দা।
ফ্র্যাঙ্ক লউডলো আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন। বিনা অনুমতিতে বিপজ্জনক কেমিক্যাল মিশিয়ে টেস্ট কিট বানিয়ে বিক্রির অভিযোগে পোর্টসমাউথ ক্রাউন কোর্টে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ১০ মাসের সাসপেন্ডেড সেনটেন্স প্রদান এব ১৭০ ঘণ্টা আনপেইড কাজ করার জন্যে রায় দেয় আদালত।