বাংলাদেশে ভয়াবহতার চরম পর্যায়ে এখন করোনা ভাইরাস !
বাংলাদেশে এতোটা ভয়াবহ আকারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে তা কখনোই বিশ্বাসে ছিলোনা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকার পর্যন্ত। কিন্তু সেই ভাইরাস এখন কাল হয়ে দাড়িয়েছে বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে।
দিন যতই যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ততই বাড়ছে। সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ৮ মার্চ থেকে আজকের আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা দেখলে বুঝা যায় সামনের দিনগুলো কতটা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৫ মে) সকাল ৮ পর্যন্ত দেশে ২০ হাজার ৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৯৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩৮৮২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২৬ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত অষ্টম সপ্তাহে শনাক্ত হয় তিন হাজার ৭৯২ জন, সুস্থ ৬৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৩৫ জনের। ৩ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত নবম সপ্তাহে শনাক্ত হয় চার হাজার ৯৮০ জন, সুস্থ হয় দুই হাজার ৩৩৭ জন এবং মৃত্যু হয় ৩৯ জনের। দশম সপ্তাহের আরো কিছু দিন বাকি আছে। ইতো মধ্যে সপ্তাহটিতে শনাক্ত হয়েছে ছয় হাজার ২৯৫ জন, সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৪৬৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন যে মে মাসে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন এবং এক হাজারের মতো মারা যেতে পারেন।
সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, ভয়াবহতা তো অনুমান করা মুশকিল। আমরা যদি বিভিন্ন গ্লোবাল বিশেষজ্ঞের বক্তব্য লক্ষ করি, আমেরিকা বা ডাব্লিউএইচও- তারা কিন্তু ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভয়াবহ পরিস্থিতির। সেখান থেকে বিশেষজ্ঞ মতামত হিসেবে ব্যতিক্রমী মতামত দেওয়া তো মুশকিল।
মার্কেট খুলে দেওয়া বা লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত সঠিক কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত ঠিক হচ্ছে কি না সেটা বলা মুশকিল। তবে পদ্ধতিটা ঠিক হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা সাঁতার না জেনেই সমুদ্রে লাফ দিচ্ছি। যেকারণে দিন দিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়তেই থাকবে। তারা মনে করেন, সাধারণ ছুটি দিয়ে লকডাউন শিথিল করা, সীমিত পরিসরে মার্কেট খুলে দেওয়া এসব আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তারা এখনই কারফিউ জারির তাগিদ দিচ্ছেন। কন্ট্রোল না করা গেলে ম্যাসাকার অবস্থার আশঙ্কা করছেন তারা।