fbpx
হোম রাজনীতি বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ আওয়ামী লীগ নেতার
বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ আওয়ামী লীগ নেতার

বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ আওয়ামী লীগ নেতার

0

বিএনপি আগুন সন্ত্রাসী হরতালের কর্মসূচি দিলে নেতা-কর্মীদের আড়াই হাতের বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের মনিহার এলাকায় জাতীয় শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
যশোর জেলা শ্রমিক লীগের আয়োজনে সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‌‘১৪ সালের নির্বাচনে আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছি, ১৮ সালে খেলেছি সেমিফাইনাল। আর ২৪ সালে খেলবো ফাইনাল। এমন খেলা করবো জীবনে বিএনপি আর এই বাংলাদেশে কথা বলতে পারবে না। একটি বারের মতো এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। বিএনপি ভয় দেখায় তারা ভোট করবে না। আওয়ামী লীগ তাদের (বিএনপিদের) কখনও ভোট করতে সাধে না। ভোটের দুয়ার খোলা। ১৪ সালের ভোটের ট্রেন ফেল করেছিলেন। ১৮ সালে উঠতে যেয়ে ধাক্কা খেয়ে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। এবার উঠতে যেয়ে চাকার তলে পড়ে যাবেন। আর জীবন নিয়ে ফিরে আসতে পারবে না। আমি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীদের বলতে চাই, আপনারা আড়াই হাতের বাঁশের লাঠি তৈরি করবেন। বিএনপি-জামাত অবরোধ, হরতাল অগ্নিসন্ত্রাস করতে আসলে আমি ও আওয়ামী লীগের লোকজন মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে বাংলাদেশের মাটি থেকে উৎখাত করে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করা হবে। আর যে সমস্ত নেতা-কর্মী জীবিত থেকে যাবে; তাদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ সময় দলের ভেতরে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে তাদেরও লাঠিপেটা করে দল থেকে বের করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন।’
জামাত-বিএনপি এখন থেকে কোথাও মুখ খুললে পিটানি দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেন, ‘দেশে যখন শান্তি বিরাজ করছে, তখন জামায়াত-বিএনপি স্বস্তি শান্তি বিনষ্ট করতে লেলিয়ে দিচ্ছে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। আমরা যখন ঐ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলি, তখন আমাদের নামের তালিকা তৈরি করছে, ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের এসব নেতাদের হত্যা করার। আপনারা ভাবুন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় নেই তাহলে আমাদের হত্যা করার তালিকা করছে। ক্ষমতায় আসলে তারা (বিএনপি) কি করবে ভাবুন একটু! এ কারণেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এবার এই জামায়াত-বিএনপিকে আর আগুন সন্ত্রাসীদের আগুন সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না। এবার আর কোনো খেলাধুলা হবে না; এবার ওদের সঙ্গে হবে লড়াই। এ লড়াই করেই এই দেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হবে। এই সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীদের বলতে চাই, দলের ভেতরে একজন আরেকজনকে নিয়ে সমালোচনা করবেন না। বরং জামায়াত-বিএনপি এখন থেকে কোথাও মুখ খুললে তাদের পিটুনি দেওয়ার প্রস্তুতি নেন।
যশোর জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি (একাংশের) সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু, যশোর পৌরসভার ৬ নম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির তুহিন, শার্শা উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবল শাহীসহ অনেকে।
আলোচনা শেষে নেতারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। এর আগে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শহিদুল ইসলাম মিলন ও প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি।

 

 

 

 

 

ইত্তেফাক

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *