fbpx
হোম বাণিজ্য পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ গরম হঠাৎ স্বাভাবিক, কারণ কী ?
পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ গরম হঠাৎ স্বাভাবিক, কারণ কী ?

পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ গরম হঠাৎ স্বাভাবিক, কারণ কী ?

0

গত বছরের তুলনায় দেশে পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। শতভাগ ঘাটতি হয়তো মিটবে না, তবে ঘাটতির পরিমাণ এবছর অতীতের যে কোনও সময়ের তুলনায় কম হবে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে দেশের পেঁয়াজের বাজারে।

কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎই কয়েকদিন পরপর পেঁয়াজের বাজার অস্থির করে তোলার একটা অপচেষ্টা চালানো হয়। এতে কখনও কেজিতে ৫ টাকা আবার কখনও ১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ে।  ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন অজুহাতে এ কাজটি করছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের একটি বড় অংশ। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আড়তদার, ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মৌসুমের সব পেঁয়াজ মাঠ থেকে কৃষকের ঘরে উঠে এসেছে। বাজারজাত করা হচ্ছে সেসব পেঁয়াজ। বাজার এখন দেশি পেঁয়াজে সয়লাব। আমদানি করা ভারতের পেঁয়াজও রয়েছে বাজারে। কাজেই কোনও অজুহাতেই পেঁয়াজের সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়নি। তারপরও কখনও রমজান, কখনও লকডাউন, কখনও রাস্তায় গাড়ি না চলা আবার কখনও বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে সুবিধাবাদী মুনাফাখোররা পেঁয়াজের কেজিতে দাম বাড়িয়েছেন ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা। আবার সীমান্তে বন্দরগুলোয় যখন ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়েছে, সেই সুযোগ দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়িয়েছেন এসব সুবিধাবাদী মুনাফাখোররা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা তৈরি করেন আমদানিকারকরা। তারাই গুজব ছড়িয়ে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এবছরও সেই পায়তারা করছে। কিন্তু এ বছর তারা সফল হবে না, কারণ এবছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। অপরদিক আমদানিও অব্যাহত রয়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আড়ত থেকে যে দাম তোলা হয়, সেই দামেই আমরা কিনতে বাধ্য হই। কারণ, আড়তের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা সব একজোট হয়ে একটা দাম ফিক্সড করে। যা সবাই অনুসরণ করে। ফলে আড়তের দরের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নাই। পেঁয়াজ নিয়ে যা কিছু হয়, তা আড়তেই হয়। আড়তের বাইরে কোথাও কোনও কারসাজির সুযোগ নাই।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের পর ক্রেতা কম। পেঁয়াজের চাহিদাও কম। ঈদের পর যেটুকু চাহিদা তৈরি হয়েছে, তা দেশি পেঁয়াজেই পূরণ করা যাচ্ছে। ঈদের আগের দিন ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দেশে পেঁয়াজের কোনও সংকট নাই। আমদানি পরিস্থিতি ভালো। এ নিয়ে সংকটের কোনও সম্ভাবনা নাই।

উল্লেখ্য, গতবছর দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশে পেঁয়াজের ফলন হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৭ থেকে ২৫ শতাংশ প্রসেস লস বাদ দিয়ে মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাড়ায় ১৯ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন। তাই বছরে ঘাটতি দাঁড়ায় ৬ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *