পাকিস্তান নিয়মিত তালেবানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে- জেনারেল বাবর
আফগানিস্তানে তালেবানদের সঙ্গে পাকিস্তান নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান থেকে শুরু করে গোয়েন্দা বিভাগ ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্সের মহপরিচালক- সবাই নিজেদের দেশের নিরাপত্তার জন্য আফগানিস্তানে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য কাজ করছেন। তাদেরকে বিভিন্ন ইস্যুতে পরামর্শ দিচ্ছেন। সর্বশেষ আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেছেন, তাদের দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই আফগানিস্তানের তালেবানদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছে পাকিস্তান। তিনি আরো বলেছেন, শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তালেবানরা যে নিশ্চয়তা দিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট পাকিস্তান।
উর্দু নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আইএসপিআরের ডিজি বলেন, পাকিস্তানসহ অন্য যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাতে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ বা সংগঠনকে অনুমোদন দেবে না তালেবানরা। তারা বার বার বিভিন্ন সময়ে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাদের এই প্রবণতা নিয়ে আমাদের সন্দেহের কোনো কারণ নেই।
আমরা তাদের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যুক্ত আছি শুধু আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য। পাকিস্তানের বড় উদ্বেগ হলো নিষিদ্ধ তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান-এর (টিটিপি) উপস্থিতি আছে আফগানিস্তানে।
এই গ্রুপটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কোনো প্রতিশ্রুতি এখনও আফগানিস্তানের তালেবানরা দেয়নি। তবে তারা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কাউকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে দেবে না।
অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিরা যাতে সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য নতুন করে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আফগানিস্তানের তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা চলছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের। এরই মধ্যে তালেবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার পর টিটিপির হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু এখনও এর জন্য আফগানিস্তানের তালেবানদের দায়ী করেনি পাকিস্তান। তারা বলেছে, এখনও একেবারে শুরুর সময়। সীমান্ত এলাকা নিরাপদ করা এবং পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উর্দু নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জেনারেল বাবর জোর দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে ২৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে বেড়া নির্মাণের আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সীমান্তের পাকিস্তান অংশে সব সময়ই উত্তম ব্যবস্থাপনা আমাদের লক্ষ্য। এ অঞ্চলের ভূখণ্ড এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বড় দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। সব জটিলতা সত্ত্বেও পাকিস্তান এরই মধ্যে সীমান্তের শতকরা ৯০ ভাগ এলাকায় বেড়া নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। তিনি আরো বলেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। আমরা আশা করি অদূর ভবিষ্যতে তা পুরোপুরি নিরাপদ হবে।