নুসরাত হত্যায় পার পাচ্ছেনা এসপি ও ওসি মোয়াজ্জেম
আগুনে পুড়িয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ফাঁসির রায় হলো ১৬ জনের। যারা সবাই জড়িত এই হত্যাতান্ডের সাথে। সাড়ে ছয় মাস ধরে এই রায়ে ৬১ কার্যদিবস সময় লেগেছে।
রায়ে প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজসহ মোট ১৬ জনেরই ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। তবে ৮০৮ পৃষ্ঠার রায়ে ওসি মোয়াজ্জেম ও এসপিসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতেও আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলায় কালক্ষেপণ, এজহার নিয়ে কূটচাল, গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের নাম বাদ, নুসরাতকে থানায় জবানবন্দির নামে ওসির হেনস্তা, বহির্ভূত জিজ্ঞাসাবাদ, প্রথমে অজ্ঞাত মামলা পরে ৮ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও বেশ কয়েকটি কারনে তাদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেয়া হয়।
মৃত্যুদন্ড পাওয়া ১৬ আসামিরা হলেন,
সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, ফাজিল শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন শামীম, নুর উদ্দিন, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি রুহুল আমিন, মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবসার উদ্দিন, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর মকসুদ আলম, মাদরাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফেজ আব্দুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, ইফতেখার উদ্দিন রানা, এমরান হোসেন মামুন, মহিউদ্দিন শাকিল, মো. শরিফ, আবদুর রহিম শরিফ, সাইফুর রহমান জোবায়ের ও জাবেদ হোসেন।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো সচিত্র ঘটনাপ্রবাহ ব্যবহার করে এই রায় দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন তুলে ধরে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় ফাঁসির ঘোষণা করা হয়।