fbpx
হোম রাজনীতি নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার হলে শেখ হাসিনা মেনে নেবেন: গয়েশ্বর
নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার হলে শেখ হাসিনা মেনে নেবেন: গয়েশ্বর

নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার হলে শেখ হাসিনা মেনে নেবেন: গয়েশ্বর

0

নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেনে নেবে বলে মনে করেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দলটির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য নির্বাচনের আগে ও পরে জাতীয় সরকারের চলমান আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার এক সভায় এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এলডিপির উদ্যোগে নিরপেক্ষ নির্বাচন ও আলোচিত জাতীয় সরকার শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় দলটির একাংশের সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ বুঝতে না পারলেও সরকার ঠিকই বুঝতে পেরেছে। এ জন্য সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। যারা নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকারের কথা বলে মাঠে নেমেছেন তাদের ভাবতে হবে কোনটা সঠিক। তারা তো কোনো রূপরেখা দেননি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার হলে তো সব দল নিয়ে হয়। আমার তো মনে হয় শেখ হাসিনাও এই জাতীয় সরকার মেনে নেবেন। আবার যদি শেখ হাসিনার অধীনেই জাতীয় সরকার হয় তাহলে তিনি তো নোবেল পুরষ্কার পাবেন। সরকারের অতীতের সব অপকর্ম এই জাতীয় সরকার দিয়ে জায়েজ করে নেবেন।

যারা নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকারের কথা বলেছেন তাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, যদি শুনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই, তাহলে যারা যারা সরকারে থেকে অপকর্ম করেছে তারা পালাবার পথও খুঁজে পাবে না। যারা এখন সরকারের চাটুকারিতা করতেছে তারা তখন আমাদের খুঁজবে। শুধুমাত্র খালি হাতে নয়; উপঢৌকন নিয়ে খুঁজবে। তারা সবাই তখন জ্যান্ত লাশ হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান যে ফর্মূলা দিয়েছেন- তা ট্রাম্পের ওপর ওভার ট্রাম্প। তিনিও বলেছেন- জাতীয় সরকার হবে; তবে তা নির্বাচনের পরে। এখন বাজার মন্দা, দিন দিন সরকার ও সরকারের চাটুকারদের দরপতন হচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের সবার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা ভোটের রাজ্যে বারবার প্রমাণ করেছে জনগণ তথা ভোটাদের সঙ্গে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রতারণা করেছে। এক কথায় তারা প্রতারক। পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায় তারা লুটপাট করে অর্থনীতিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে। উন্নয়নের কথা বলে ৭০ ভাগ টাকা তারা লুট করেছে, তারা গত ১২ বছরে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

তিনি আরও বলেন, এই কারণে একের পর এক ভ্যাট, ট্যাক্স ও ইউটিলিটি পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে সরকার। এতে করে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মানুষের আয় কমছে, ব্যয় বাড়ছে।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *