দেড় শ প্রাণ বাঁচল পাইলট নওশাদের দক্ষতায়
হার্ট অ্যাটাক। তারপরও পেশাগত দক্ষতা আর কর্তব্যবোধ ভুলে যাননি বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউম। ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে, যাত্রীদের রেখেছেন অক্ষত। শুধু এইবারই নয়, পাঁচ বছর আগেও একবার বিচক্ষণ এই পাইলট ক্ষতিগ্রস্ত চাকা নিয়ে ওমান থেকে ঢাকায় জাহাজ নামিয়েছিলেন নিরাপদে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের প্রশংসাও।
শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকায় যাত্রা করে বিমানের বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন। মাঝ আকাশে অসুস্থ হন পাইলট নওশাদ। বিমানে যাত্রী ১২৪। তার উপর দায়িত্ব পুরোটাই। তাই হার্ট অ্যাটাকের পরেও কর্তব্য ভোলেননি।
জরুরি অবতরণের অনুমতি চাইলেন কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে। সেখানে সবুজ সংকেত না পেয়ে নিরাপদেই উড়োজাহাজ নামান নাগপুর বিমানবন্দরে। পরে সব যাত্রী নিরাপদে ফেরেন ঢাকায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, রাত ১২:৫৫ মিনিটে আমাদের উদ্ধারকারী সদস্যরা ১২৪ জন যাত্রীসহ বিমানটি নিয়ে আসে। যাত্রীরা সবাই ভালো আছে। রাতে তাদেরকে আমাদের তদারকিতে হোটেলে রাখা হয়েছে।
বিমানের এই পাইলট আগেও পেশাগত দক্ষতার নৈপুন্য দেখিয়েছেন। পাঁচ বছর আগেও তার বিচক্ষনতায় দেড়শ যাত্রীর জীবন রক্ষা পেয়েছে। ফেঁটে যাওয়া চাকা নিয়ে ওমান থেকে নিরাপদে এসেছিলেন ঢাকায়। যার স্বীকৃতিও দিয়েছিলো আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশন।
পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউম এখন আছেন ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের হোপ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে। এনজিওগ্রাম হয়েছে তার। নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। ২০০২ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যোগ দেন।