fbpx
হোম আন্তর্জাতিক তুরস্ক ও পাকিস্তানে শিশুদের সৈনিক বানানো হচ্ছে
তুরস্ক ও পাকিস্তানে শিশুদের সৈনিক বানানো হচ্ছে

তুরস্ক ও পাকিস্তানে শিশুদের সৈনিক বানানো হচ্ছে

0

শিশু বা ১৮ বছরের কম বয়সীদের সেনা হিসেবে নিয়োগ ও ব্যবহারকারী দেশগুলোর তালিকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাইল্ড সোলজারস প্রিভেনশন অ্যাক্ট (সিএসপিএ) তালিকায় দেশ দুটির নাম এসেছে। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ও তুরস্ককে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধের পাশাপাশি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি উঠেছে। তাছাড়া বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) প্রতিবেদনেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

চাইল্ড সোলজারস প্রিভেনশন অ্যাক্টের জন্য বার্ষিক টিআইপি প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো- বিগত বছরে কোন দেশগুলো শিশুদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়েছে বা সৈনিক হিসেবে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকার–সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপে নিয়োগের বিষয়টিও উঠে আসে।

সর্বশেষ প্রকাশিত সিএসপিএ তালিকায় ১৫টি দেশের নাম রয়েছে। সেগুলো হলো- আফগানিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক, মিয়ানমার, কঙ্গো, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, মালি, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, ভেনেজুয়েলা ও ইয়েমেন।

২০১০ সাল থেকে তালিকাটি প্রকাশ করা হচ্ছে। তখন থেকেই কঙ্গো, সোমালিয়া ও ইয়েমেনের নাম প্রতিবছরই থাকছে। এর বাহিরে গত ১০ বছরে আফগানিস্তান, মালি, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়ার নাম বেশ কয়েকবার এসেছে। তবে এবারই প্রথম পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম অন্তর্ভুক্ত হলো।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিশুসেনা’ বলতে বুঝানো হয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনী, পুলিশ কিংবা অন্য নিরাপত্তা সংস্থায় নিয়োগ দেওয়া হয়। এর বাহিরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচক, কুলি, সংবাদবাহক, স্বাস্থ্যকর্মী, গার্ড এবং যৌনদাসদেরও শিশুসেনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলোর ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে তা হলো- আন্তর্জাতিক সামরিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ, সেনাবাহিনীতে বিদেশি অর্থায়ন, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকসেস ডিফেন্স আর্টিকেলস প্রোগ্রাম, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া এবং তাদের কাছে সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *