জামায়াত সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে যা জানালেন শাহরিয়ার কবির
ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বুধবার বলেছেন, ‘জামায়াত রোহিঙ্গাদের যেভাবে জিহাদিকীকরণ করছে, সেটি অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে স্থায়ী হলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বিপর্যয় নেমে আসবে। এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক ইস্যু। ১০০ জনে একজন রোহিঙ্গাকে জঙ্গি বানাতে পারলে বছরে ১৫ হাজার জঙ্গি হবে।’
শাহরিয়ার কবির আরো বলেন, ‘আমি যুক্তরাষ্ট্রকে বলে এসেছি, তোমরা সিরিজ ৯/১১ এর জন্য অপেক্ষা করো। যদি রোহিঙ্গা সংকটকে অবহেলা করো, রোহিঙ্গাদের ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে জামায়াত তাদের সশস্ত্র করে তুলবে। জামায়াত বোঝাতে চাইছে জিহাদ করে মিয়ানমার দখল করতে হবে। এজন্য তোমাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। জামায়াতের জিহাদ মানে ইসলাম। আর ইসলাম মানে মৌলবাদ। এটিই তারা প্রমাণ করতে চাইছে। জামায়াতের এজেন্ডা আর আইএস বা আল-কায়েদার এজেন্ডা একই। আইএস বা আল-কায়েদা মনে করে, অন্তিম জিহাদ হবে ভারতের বিরুদ্ধে।’
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রকে বলে এসেছি, আপনারা হয়ত এ বিষয়গুলো ভাবছেন না। সিরিয়ায় আইএস হটিয়ে স্বস্তিতে আছেন। এটি বোকামি হবে। জঙ্গিবাদ একটি আদর্শ। অস্ত্র দিয়ে আদর্শ মোকাবিলা করা যায় না। এর বিপরীত আদর্শ নিয়ে আমরা কেউ ভাবছি না। রোহিঙ্গাদের সমাবেশ-বিক্ষোভ বিশেষ ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা বিপদ অনিবার্য করে তুলছে। যুবলীগের ছেলেটাকে মেরে ফেলল, ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেয়ার কারণে। কক্সবাজার শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শেষ হওয়ার আগেই আক্রমণাত্মক কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি হোক রোহিঙ্গা ইস্যুতে। জামায়াত, পাকিস্তান, আইএস-এর ষড়যন্ত্র বুঝেই সমাধানের পথ বের করতে হবে।’