fbpx
হোম রাজনীতি খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সনদ লবিস্ট ফার্মের: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সনদ লবিস্ট ফার্মের: তথ্যমন্ত্রী

খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সনদ লবিস্ট ফার্মের: তথ্যমন্ত্রী

0

খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সনদ বিএনপির নিয়োগ করা লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তিকারী সংস্থা থেকে নেওয়া বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সাড়ে তিন বছর আগে নেওয়া এই সনদ গণমাধ্যমে দেখিয়ে বিএনপি খালেদা জিয়াকে হাস্যাস্পদ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম খালেদা জিয়াকে কানাডার একটি সংস্থা, যাদের নাম তেমন কেউ জানে না, জন্মও খুব আগে নয়, তারা তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যেটি মির্জা ফখরুল সাহেব ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন। এই সার্টিফিকেট আবার সাড়ে তিন বছর আগে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে দেওয়া। সাড়ে তিন বছর পর হঠাৎ বিএনপি নেতারা গণমাধ্যমের সামনে এসে কথাগুলো বললেন, তাতে পুরো বিষয় এবং খালেদা জিয়াকে একটি ‘লাফিং স্টক’ (হাস্যাস্পদ) বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ড. হাছান বলেন, আপনারা জানেন যে কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিল। সেই কানাডার তথাকথিত এক সংস্থা থেকে বিএনপি একটি সার্টিফিকেট কিনেছে, সেটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে। কিছু লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে আবার কিছু ফার্মের সঙ্গে বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছে। যে ‘অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’-এর পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে সনদ দেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা বিএনপির পক্ষ হয়ে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। তাদের কাছ থেকে বিএনপি একটা সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলেন আর এখন সেটি গণমাধ্যমের সামনে দেখালেন, পুরো বিষয়টাই হাস্যকর। মন্ত্রী এ সময় চুক্তিপত্রের কপি সাংবাদিকদের দেখান।

‘বিএনপি সাড়ে তিন বছর পরে কেন এটি দেখাল’ এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা হঠাৎ সাড়ে তিন বছর পরে কেন জানাইলেন এবং গণমাধ্যমের সামনে হাজির হইলেন, উহা তাহারাই বলিতে পারিবেন।’

এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব  মকবুল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে আমাদের শিল্পী কলাকুশলীরা স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, বাংলাদেশি বেসরকারি চ্যানেলগুলো পশ্চিমবাংলায় প্রদর্শনের বিষয়টি কীভাবে সহজ করা যায় এবং আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রপত্রিকার কলকাতা প্রতিনিধিরা কীভাবে সেখানে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেতে পারে সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, দুদেশের অর্থায়নে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য তানভির মোকাম্মেলকে পরিচালক হিসেবে আমাদের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে খুব শিগগিরই যুগ্মপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *