ক্ষুধার্ত হনুমানের কামড়ে যশোরে ১২ জন আহত
খাদ্যের খোঁজে দল বেঁধে ঘুরছে হনুমান। ক্ষুধার তাড়নায় হানা দিচ্ছে পথচারী ও মানুষের বসত বাড়িতে। তাড়া করলে হনুমানের দল কামড় দেওয়ার মাধ্যমে আহত করছে মানুষকে।
গত ৩ দিনে যশোর শহরে পুলিশ সদস্যসহ মোট ১২ জন হনুমানের কামড়ে আহত হয়েছেন। যার মধ্যে দু’জন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এছাড়া হনুমান কামড়ানোর পর জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন, শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন (৫২) ও ঝাড়ুদার বিপ্লব দাস (৩০), শহরের ঘোপ এলাকার সৈকত হোসেন (১৮), মনিরুজ্জামান (৭৪), আব্দুল কাদির (১২) এবং আকবর হোসেন (৪৫), বশির আহম্মেদ (৫০) ও হাসমত আলী (৪৫)।
আহত শিমুল জানান, দুপুরে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার পথে কালেক্টরেট পার্কের সামনে একটি হনুমান এদিক ওদিক লাফিয়ে ঘুরছিল। এর এক পর্যায়ে হঠাৎ তার উপর হামলে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজনের তাড়া দেওয়ার কারণে হনুমানটি পালিয়ে যায়।
বনবিভাগের যশোর রেঞ্জ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, কয়েকটি হনুমান ক্ষুধার্ত। তারা খাদ্য না পেয়েও কামড় দিতে পারে। হনুমানগুলো খাবারের সন্ধানে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেগুলো কামড় দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যশোরের কেশবপুরে যুগ যুগ ধরে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের বসবাস। সেখানে সরকারিভাবে হনুমানের খাদ্যের বরাদ্দ রয়েছে। তবে, সরকারি অব্যবস্থাপনা ও খাদ্যের ঠিকাদারের দুর্নীতির কারণে খাদ্য ঘাটতি রয়ে গেছে। এজন্য খাদ্যের অভাবে কেশবপুর ছেড়ে পাশ্ববর্তী জেলা-উপজেলায় দলছুট হয়ে চলে যাচ্ছে বিরল প্রজাতির এ প্রাণী।