fbpx
হোম আন্তর্জাতিক এরদোগানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বিরোধীরা
এরদোগানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বিরোধীরা

এরদোগানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বিরোধীরা

0

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ক্ষমতার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কের ক্ষমতার রাজনীতির নাটাই তার হাতে।  এই দীর্ঘ সময়ে রাজনৈতিক কোনো প্রতিপক্ষ দাঁড় হতে দেননি এরদোগান। 

রাজনৈতিক বড় কোনো প্রতিপক্ষ না থাকলেও সম্প্রতি এরদোগানের রাষ্ট্রীয় নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠা শুরু করেছে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি তাকে বেশ ভাবাচ্ছে। গত মাসে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে বাড়তে ৫০ শতাংশে দাঁড়ায়। যেটি তার শাসনকালে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এটিকে মওকা হিসেবে নিচ্ছে বিরোধীরা। এরদোগান বিরোধী শক্তি যতই ভঙ্গুর হোক না কেন তারা নেতিবাচক অর্থনীতির বিষয়টি জনগণের সামনে আনার চেষ্টা করছে। তারা এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে তুরস্কের দীর্ঘদিনের একনায়ক এরদোগানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।

বিষয়গুলো নিয়ে এরদোগান যে ভাবছেন না তা নয়। সম্প্রতি তিনি তুরস্কের পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউটের প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন। মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি।  খাদ্য ও জ্বালানির দাম এখনও আকাশচুম্বী।  যেটি ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) জন্য আগামী নির্বাচনে কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ইকোনোমিক টাইমসে লেখা ডেভিড গার্ডনেরার একটি বিশেষ নিবন্ধে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

রাশিয়ার আদলে তুরস্কে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়। সীমাহীন ক্ষমতা পেয়ে এরদোগান বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি একেপির সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের কোনঠাঁসা করে রেখেছেন। দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদদের মূল্যহীন করে রেখেছেন। এরদোগানের রাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিতে ভুল ধরবে এমন কোনো সমালোচককে আশপাশে রাখেননি তিনি।

এরইমধ্যে গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর ১০ জন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন এরদোগান। যেটি ন্যাটোভূক্ত তুরস্ককে পশ্চিমা দেশগুলো থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পশ্চিমা দেশগুলোর হুমকির মুখে পড়েছে তুরস্ক।

কিন্তু এরদোগান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর নীতি প্রণয়ন করতে পারেননি। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর বদলে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে লিরার দরপতন কমেনি।

এসব কারণে এরদোগান শাসনের বিরোধীরা এবার আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।  এরদোগানকে ফেলে দিতে এবং তুরস্কে নিজস্ব স্টাইলে সংসদীয় গণতন্ত্র পূণরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন তারা।

আগামী বছরের জুনে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।  ২০০২ সাল থেকে তুরস্কে ক্ষমতাসীন একেপি পার্টি নির্বাচন সামনে রেখে নতুন নীতি অনুস্মরণ করছে। তারা নিজেদেরকে নব্য-ইসলামিস্ট শক্তি হিসেবে নিজেদের আবির্ভূত করেছে।  বিরোধীদের সেক্যুলার হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনৈতিক বৈধতা দিতে অপ্রস্তুত একেপি। এরদোগানের এই নীতি আগামী নির্বাচনে ভূল বলে প্রমাণিত হবে বলে নিবন্ধে বলা হয়েছে।

এরদোগান আদালতের ঘাড়ে বন্দুক ধরে আবারও ক্ষমতায় আসতে চাইছেন। এ কারণে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টায় আছেন তিনি। বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে একেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা প্রো-কুর্দিস এইচডিপি দলের নেতাকে বন্দি করা হয়েছে।

এরদোগান একেপিকে এ যুগের সফল ক্ষমতাসীন দলে পরিণত করেছেন ঠিকই কিন্তু নিজেকে বিতর্কিত রাজনীতিবিদে পরিণত করেছেন।  তার রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটছে বলে তুর্কির বিরোধীরা মনে করছেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *