fbpx
হোম আন্তর্জাতিক এক হাত ও এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে সালমান রুশদির
এক হাত ও এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে সালমান রুশদির

এক হাত ও এক চোখ নষ্ট হয়ে গেছে সালমান রুশদির

0

দুই মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক বক্তৃতায় অংশ নেয়ার প্রস্তুতিকালে বিতর্কিত লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলা চালায় এক যুবক। সে হামলায় গুরুতর জখম হন রুশদি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি তার এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন- ওই হামলায় সালমান রুশদির একটি চোখ নষ্ট এবং এক হাত প্যারালাইজড তথা অক্ষম হয়ে গেছে।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নামে বিতর্কিত এক বই লিখে আশির দশক থেকেই হুমকির মুখে ছিলেন রুশদি। দু’মাস আগে নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে শৈল্পিক স্বাধীনতার বিষয়ে বক্তৃতা দেয়ার জন্য মঞ্চে ওঠেন সাবেক বুকার পুরস্কার বিজয়ী এই লেখক।

সে সময় হাদি মাতার নামে এক যুবক তার দিকে তথা মঞ্চের দিকে দৌড়ে যান এবং রুশদির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ছলে ঘাড়ে ও ধড়ে ছুরিকাঘাত করেন। গেল আগস্ট মাসের ১২ তারিখ শুক্রবারে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

সে সময় থেকে এ পর্যন্ত রুশদির আঘাতের পরিমাণ নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল। তবে এবার স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল পাইসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি সেই আক্রমণ কতটা গুরুতর ও প্রাণঘাতী ছিল তা ব্যাখ্যা করেন। ওয়াইলি জানান, রুশদির ক্ষতগুলো বেশ গভীর ছিল এবং তিনি একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

তার ভাষ্যমতে, ‘তার (রুশদি) ঘাড়ে তিনটি গুরুতর ক্ষত ছিল। তার বাহুর স্নায়ু কেটে যাওয়ায় এক হাত অক্ষম হয়ে গেছে এবং তার বুকে ও ধড়ে আরো প্রায় ১৫টি ক্ষত রয়েছে। সুতরাং, এটি একটি নৃশংস হামলা ছিল।’ যদিও রুশদি এখনও হাসপাতালে আছেন কিনা তা বলতে রাজি হননি অ্যান্ডু ওয়াইলি নামের ওই এজেন্ট।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইট’স চিলড্রেন’ নামক বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে তার চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে বসবাসকালে বেশির ভাগ সময় তাকে সরকারের সুরক্ষা নিয়ে থাকতে হয়েছে। ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করেন মুসলিমরা। এটি প্রকাশের পর থেকে সালমান রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *