fbpx
হোম অন্যান্য উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও বিশ্ব কাঁপিয়েছেন যারা
উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও বিশ্ব কাঁপিয়েছেন যারা

উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও বিশ্ব কাঁপিয়েছেন যারা

0

গুণীজনরা বলেন, কারো বর্তমান অবস্থা তার ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। তাই কেউ এখন কেমন আছে তা থেকে কখনোই বোঝা সম্ভব নয় ভবিষ্যতে সে কেমন থাকবে। এই নেলসন মেন্ডেলার কথাই ধরুন না। কয়েদি থেকেছেন ২৭ বছর। এরপর শান্তিতে নোবেল পান তিনি। অবাক হচ্ছেন? না তিনি হত্যা বা কোনো অপরাধ করে জেলে যাননি।
এমন একজন আছেন যে ছোটবেলায় ঠিকভাবে হাঁটতেই পারত না। অটিস্টিক বাচ্চার তালিকায় পরত সে। এখন সেই বাচ্চাটাই বিশ্ব সেরা ফুটবলার। ঠিক ধরেছেন মেসির কথাই বলছিলাম। আজকের লেখায় থাকছে এমন আরো কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির কথা। চলুন জেনে নেয়া যাক তাদের কথা-

স্টিভ জবস: বর্তমানে অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। অথচ পিতৃপরিচয়হীন এই মানুষটি জীবন কাটিয়েছেন অনেক কষ্টে। থাকার কোনো রুম ছিল না তার। বন্ধুদের বাসার ফ্লোরে ঘুমাতেন। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতেন, যেটা দিয়ে খাবার কিনতেন। প্রতি রোববার রাতে তিনি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতেন শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য।

বিল গেটস: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধনীদের তালিকায় থাকা এই ব্যক্তির জীবন ছিল বন্ধুর পথ। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। লেখাপড়ায় মন ছিল না একেবারেই। তাকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।

মাক্সিম গোর্কি: মাত্র ১১ বছর বয়সে এতিম হন। ১২ বছর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে যান। হতাশ হয়ে ১৯ বছর বয়সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি অনেক বিখ্যাত বইয়ের লেখক, তার মধ্যে আমার বিশ্ববিদ্যালয় একটি। যদিও তিনি কোনো দিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা সুযোগ পান নাই। বর্তমানে বিখ্যাত লেখক, নাট্যকার আর রাজনীতিবিদের তালিকায় শীর্ষে তার নাম।

মাও সেতুং: চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুংয়ের কথা বলছি। বাবার সাথে মুদি দোকান করতো। পরিবারের এতই অভাব ছিল যে স্কুল পর্যন্ত পড়েই তাকে থেমে যেতে হয়েছিল। সেই ব্যক্তিই একসময় হয়ে উঠে বিরাট বিপ্লবী নেতা।

জন মেজর: অভাবের তাড়নায় কুলিগিরি করতো। একদিন বাসের কন্ডাক্টরের কাজের জন্য গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। যে যুবকটি অংকে পারদর্শী নয় বলে বাসের কন্ডাক্টর হতে পারেনি, পরবর্তীতে সে-ই হয় ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী।

নেলসন মেন্ডেলা: এই কালো মানুষটির কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪। ২৭ বছর জেলে থাকার পরেও উনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন। শেষ জীবনে ছিলেন আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী। এমনকি আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন নেলসন ম্যান্ডেলা। শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও তিনি ভূমিকা রাখেন তিনি।

রোনাল্ডো: আরেক ছেলের বাবা-মা এতই গরিব ছিলো যে, তার জন্মের পর নাম রেজিস্ট্রি করতেই দু’দিন দেরি হয়। কে সে জানেন? সে-ই আজকের ফুটবল কিংবদন্তী রোনাল্ডো!

জয়সুরিয়া: শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার জয়সুরিয়া। বাবা ছিল জেলে। ছেলেকে সঙ্গে করে বাবা মাছ ধরতো। কারণ অন্য স্বাভাবিক আর ১০ জন থেকে তিনি পানির নিচে মাছকে খুব ভাল ভাবে দেখতে পেতেন। সেই জেলের ছেলেই এখন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সুপারস্টার।

আলবার্ট আইনস্টাইন: পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন তিনি। কোন কিছু মনে থাকত না। ক্লাস এর শেষ বেঞ্চে বসে থাকেন। ফেল করেছেন বারবার। ক্লার্ক এর চাকরিও করছেন তিনি। পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছেন তিনি তার থিউরি অফ রিলিটিবিটি দিয়ে। নোবেল ও জিতেছেন তিনি।

টমাস আলভা এডিসন: ক্লাস এর সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। স্কুল থেকে বহিস্কারও হতে হয়েছে তাকে। তিনি পৃথিবী আলোকিত করেছেন তার আবিষ্কার দিয়ে।

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি: তিনি উল্টো করে শব্দ লিখতেন। পড়ালেখায় একদম হাদা। অথচ উড়োজাহাজ আবিস্কারের ৪০০ বছর আগে তিনিই সর্ব প্রথম
উড়োজাহাজের মডেল এঁকে গেছেন।

ওয়াল্ট ডিসনি: পরীক্ষায় সব সময় ফেল করতেন তিনি। ২২ টা একাডেমিক পুরষ্কার জিতেছেন জিব্বদশায়। তিনি মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক এর জন্মদাতা। মিকি মাউসের গলার স্বরও তার নিজের দেওয়া।

পাবলো পিকাসো: শব্দের খেলা তিনি বুঝতেন না। 7 নাম্বার কে তিনি বলতেন উল্টা নাক! এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক একজন কবি, লেখক, পেইন্টার, কেমিস্ট, স্টেজ ডিজাইনার, ভাস্কর।

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry
1

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *