fbpx
হোম অনুসন্ধান অপরাধবার্তা ইয়াবা বাণিজ্যের তথ্য পান সিনহা !
ইয়াবা বাণিজ্যের তথ্য পান সিনহা !

ইয়াবা বাণিজ্যের তথ্য পান সিনহা !

0

কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে একটি পুলিশ চেকপোস্টে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণবিষয়ক ডকুমেন্টারি নির্মাণের জন্য কক্সবাজারে শুটিংয়ে গিয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘ইয়াবা বাণিজ্যসহ অবৈধ’ কর্মকাণ্ডের তথ্য পেয়ে যান সিনহা। ওসি প্রদীপের ভিডিও সাক্ষাৎকারও চান তিনি। এসব কারণে সিনহাকে টার্গেট করেন প্রদীপ।

টেকনাফ থানায় বসেই হয় হত্যার নীলনকশা। বাহারছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, তিন সোর্স ও এসআই নন্দদুলালের সহায়তায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়। এ জন্য তাঁরা দীর্ঘ সময় সিনহাকে অনুসরণ করেন। চেকপোস্টে হত্যার পর ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ভিন্ন খাতে নিতে ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে ১৫ জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নেন।

হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে। ঘটনার তিন দিন পর তদন্তভার পেয়ে র‌্যাব চার মাস ১০ দিন তদন্ত করে গতকাল রবিবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। এতে ওসি প্রদীপসহ পুলিশের ১২ সদস্য ও তিন সোর্স মিলে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা সিনহা হত্যার আসল রহস্য উন্মোচিত হয়েছে বলে দাবি করেন র‌্যাবের তদন্তকারীরা। তাঁরা বলছেন, ওসি প্রদীপ তাঁর ইয়াবার বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং সিনহা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনা জানাতে পারেন—এই ভয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। হত্যার পর সিনহার ল্যাপটপটি জব্দ করেছিল পুলিশ। তবে সেই ল্যাপটপ থেকে স্পর্শকাতর কিছু প্রমাণ সুকৌশলে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নিহত সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা তিন মামলায় র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন গত বৃহস্পতিবার। এতে এই দুজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের দায়মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম। অভিযুক্তরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব, আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

দুপুরে ঢাকায় কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘৮৩ জন সাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করে ২৬ পৃষ্ঠার এই চার্জশিটে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ১৫ আসামির মধ্যে ৯ জন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য, তিনজন এপিবিএনের বরখাস্ত হওয়া সদস্য এবং তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি। ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে আছেন। একজন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১২ জন তাঁদের নিজ নিজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা জবানবন্দি দেননি।’

আশিক বিল্লাহ আরো বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুব স্পষ্টভাবেই একটি বিষয় সামনে এনেছেন। ঘটনার সাক্ষী, আলামত, আসামিদের জবানবন্দির মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠভাবে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়া এবং অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রদীপ কুমার দাশের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করেন অপর আসামি লিয়াকত আলী, নুরুল আমিন, পুলিশের সোর্স মুহাম্মদ আয়াজ ও মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন। আবার লিয়াকত আলীকে সহযোগিতা করেন আরেক পুলিশ সদস্য নন্দদুলাল। পাশাপাশি এপিবিএনের তিন সদস্যের সহায়তায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ওই ফাঁড়ির আরো কয়েক পুলিশ সদস্য সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করার এবং ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রশংসা করে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘পুলিশে ৩২ বছর ধরে কাজের অভিজ্ঞতা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ও প্রভাবমুক্ত হয়ে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।’

যে কারণে, যেভাবে হত্যা

র‌্যাবের মুখপাত্র আশিক বিল্লাহ বলেন, ৭ জুলাই থেকে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান, শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও রূপতি মিলে মেরিন ড্রাইভের নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করেন। ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য তাঁরা টেকনাফে যান। একপর্যায় রূপতি ফিরে আসেন। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার সময়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের আন্তরিকতা গড়ে ওঠে। সদালাপি হওয়ায় সিনহার কাছে মানুষ ওসি প্রদীপের অপকর্মের খবর জানায়। ওসি প্রদীপের ইয়াবা কারবার নিয়ে নানা বিষয় জানতে পারেন সিনহা। এ ব্যাপারে সিনহা ক্যামেরাসহ ওসি প্রদীপের কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চান। ওসি প্রদীপ তখন তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যান। তিনি বক্তব্যের পরিবর্তে তাঁদের টেকনাফ ছেড়ে চলে যেতে সরাসরি হুমকি দেন। না গেলে ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলেন।

লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘ওসি প্রদীপের স্বেচ্ছাচারিতা ও ইয়াবা বাণিজ্যের কথা সিনহা জেনে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। মূলত দুটি কারণে ওসি প্রদীপ ঘটনাটি ঘটান। একটি হলো—তাঁর ইয়াবা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়। অপরটি—সিনহা এই তথ্য যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানতে পারেন। হুমকির পরও যখন মেজর সিনহা রাশেদ তাদের ইউটিউব চ্যনেলের কাজ ও ইয়াবার ব্যাপারে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন, তখন ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও ওসি প্রদীপসহ অন্যরা পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটান।’

তদন্তকারী সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপ তাঁর অধীন পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘ভিডিও পার্টিকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে, যেকোনো মূল্যে।’ এর পর থেকেই সিনহাকে নজরদারিতে রাখেন পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত। ৩১ জুলাই সকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি ‘বৃক্ষরোপণ’ অনুষ্ঠান শেষে ওসি প্রদীপকে জানানো হয়, মেজর সিনহা রাশেদ প্রাইভেট কার নিয়ে টেকনাফের শামলাপুর পাহাড়ে গেছেন। এ সময় সোর্সের মাধ্যমে বাহারছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী সিনহার প্রতি নজর রাখতে থাকেন। রাতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের দিকে আসার পথে বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির নামে গাড়ি থেকে নামিয়ে সিনহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সিনহার ল্যাপটপ থেকে আলামত ধ্বংস

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন রাতে নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালায় টেকনাফ থানার পুলিশ। সেখান থেকে তারা সিনহার ল্যাপটপ উদ্ধার করে। সেই ল্যাপটপ প্রথমে টেকনাফ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ ও সাক্ষীর জবানবন্দি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, সিনহার ল্যাপটপে যে ডিজিটাল কনটেন্ট ছিল, সেগুলো তারা থানায় বসে ধ্বংস করে।’ আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘ল্যাপটপে এমন কিছু ভিডিও ছিল, যা প্রদীপ ও লিয়াকতকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলতে পারে। আমরা ডিজিটাল ডকুমেন্ট অনেক কিছু উদ্ধার করতে পারলেও ওই ভিডিওগুলো উদ্ধার করতে পারিনি।’

এসপি মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার আগে থেকেই ওসি প্রদীপের অবৈধ কর্মকাণ্ডে উদাসীন ছিলেন কক্সবাজার জেলার তখনকার পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ। ঘটনাটি ঘটার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি তিনি। সিনহা রাশেদকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করাসহ বেশ কিছু কারণে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি অপেশাদারি আচরণ করেছেন বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বি এম মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে।

মৃত্যুর পরেও গুলি, মুখমণ্ডলে বুটের আঘাত

র‌্যাব সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে মেজর সিনহা চেকপোস্টে নিজের পরিচয় দিয়ে দুই হাত ওপরে করে গাড়ি থেকে বের হন। তখন পরিদর্শক লিয়াকত অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ‘তোর মতো বহুত মেজর দেখেছি। এইবার খেলা দেখামু’ বলে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মেজর সিনহা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের গুলি করেন পরিদর্শক লিয়াকত। এরপর ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ওসি প্রদীপ গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা মেজর সিনহার শরীর ও মুখে কয়েকটি লাথি মেরে মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এ ছাড়া প্রদীপ তাঁর বুট জুতা দিয়ে সিনহার মুখমণ্ডল বিকৃত করার চেষ্টা করেন। ওই সময় আসামিরা সাক্ষীসহ আশপাশের লোকজনকে অস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেন।

হুমকিতে অনড় থাকায় বাড়ে সন্দেহ

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে টেকনাফের জীবনচিত্র ধারণ করতে গিয়ে ওসি প্রদীপের মাদক নির্মূলের নামে নিরীহ মানুষের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্য পান মেজর সিনহা। তিনি ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়কত ও তাঁদের পেটুয়া বাহিনীর আরো তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেন। সহকর্মীসহ ওসি প্রদীপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ ব্যাপারে কথা বলতে চান তিনি। তখন প্রদীপ তাঁদের কক্সবাজার থেকে চলে যাওয়ার হুমকি দেন। না হলে ধ্বংস করার কথা বলে ভয়ভীতি দেখান। এর পরও মেজর সিনহা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ওসি প্রদীপের কুকর্মের তথ্য সংগ্রহ করছিলেন বলে সন্দেহ হয় তাঁর।

প্রদীপ ধারণা করেন, তাঁর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে সিনহা গোপনে যোগাযোগ করছিলেন। এসব তথ্য প্রচার হলে তাঁর চাকরির অনেক ক্ষতি হবে। তখন ওসি তাঁর থানা এলাকার সব সোর্সের সঙ্গে গোপন মিটিং করেন। বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতকেও জানান। নুরুল আমিন, আইয়াছ ও নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁদের সেই গোপন মিটিং হয় ঘটনার কয়েক দিন আগে।

‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাভেল শো ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের জন্য তিন সহযোগীসহ কক্সবাজারের নীলিমা রিসোর্টে ওঠেন সিনহা। চেকপোস্টে তাঁকে হত্যা করা হলে ৫ আগস্ট তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র‌্যাবকে। তদন্তের স্বার্থে বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, পরে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হয়। তদন্তে নেমে র‌্যাব স্থানীয় তিনজন ছাড়াও এপিবিএন ও প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৩ আগস্ট চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। ৩ সেপ্টেম্বর ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তদল। গত ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ৮০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে ১২টি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

Like
Like Love Haha Wow Sad Angry

LEAVE YOUR COMMENT

Your email address will not be published. Required fields are marked *