“আগরতলা বিমানবন্দরে জমি দেয়ার বিষয়ে পর্যালোচনা করছে সরকার”
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়ার পর সিভিল এভিয়েশনকে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে, তারা কাজও শুরু করেছে। এদের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আগরতলা বিমানবন্দরে নিরাপদে প্লেন অবতরণে ‘ক্যাট আই লাইট’ স্থাপনের জন্য জমি চেয়ে ভারত বাংলাদেশকে যে অনুরাধপত্র দিয়েছে তা পর্যালোচনায় সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম৷
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ডয়চে ভেলে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়ার পর সিভিল এভিয়েশনকে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে, তারা কাজও শুরু করেছে। এদের প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷।
তবে বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে এবিষয়ে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ওই বিমানবন্দরে যদি উভয় দেশের ইমিগ্রেশন চালু হয় তবে প্রস্তাবটি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে৷
ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করতে ভারত বাংলাদেশের পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জমি চেয়ে মৌখিক প্রস্তাব রেখেছে বলে উভয় দেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়৷ এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে সমালোচনাও করেন কেউকেউ৷
শাহরিয়ার আলম বলেন, ব্রিটিশ আমলের ওই এয়ারপোর্টে (আগরতলা বিমানবন্দর) নিরাপদে প্লেন অবতরণে ক্যাট আই লাইট স্থাপেনর জন্য (জমি চেয়ে) তারা অনুরোধপত্র দিয়েছে, আমরা সিভিল এভিয়শনকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য বলেছি এবং তাদের কারিগরি কমিটি এনিয়ে কাজ করছে৷ সিভিল এভিয়শন বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর আবার আলোচনা করব, এরপর আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে৷
এর আগে গত ৩ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আগরতলা বিমানবন্দরের সংস্কারের জন্য জমি চেয়ে ভারতের কোনো চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও পায়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিল্লি সফরে এনিয়ে আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, সরকারি সফরে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল৷