ফরিদপুরে মানি লন্ডারিং : শহর আ. লীগ সভাপতি গ্রেফতার
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার ওরফে লেবিকে (৬১) গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১ টার দিকে শহরের চরকমলাপুর এলাকায় নিজের কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ফরিদপুরের সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন বরকত (৪৭) ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেল মিলে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে ২ হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের দেয়া জবানবন্দিতে তারা আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল ইসলাম খন্দকার ও অন্যদের সঙ্গে মিলে কীভাবে ফরিদপুরে অপকর্ম করতেন তার বিবরণ দিয়েছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে তাদের একাধিক সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতার করেছে। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযুক্ত হলেন নাজমুল। পুলিশ জানায়, সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী মানি লন্ডারিং মামলায় নাজমুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তাঁর ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করে। গত ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করেন। ১৯ জুলাই ভোরে সিআইডি দুই ভাইকে ফরিদপুর জেলখানা থেকে তাদের জিম্মায় নেয়। তাদের সরাসরি ঢাকার মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে নেওয়া হয়। দুই দিন রিমান্ড শেষে সিআইডি ২১ জুলাই পুনরায় ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে রুবেল ও বরকত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কেরানিগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, সিআইডির মানি লন্ডারিং মামলায় প্রধান আসামি রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নাজমুল ইসলাম লেবির সম্পৃক্ততার প্রেক্ষিতে তাকে নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সিআইডি এ মামলায় নাজমুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখিয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা কারাগার থেকে তাদের জিম্মায় নেবে।