রাজশাহীতে ফের করোনার থাবা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিহ্নিত ইয়েলো বা মধ্যম ঝুঁকির এলাকা রাজশাহীতে আবারো থাবা বসিয়েছে করোনা। গত রবিবার রাজশাহীতে একদিনে রেকর্ড প্রায় ৩৩ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে সরকারের শীর্ষ দুইজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ২৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয় ৭৭ জন। উক্ত নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ। অথচ আগের দিন ১৫ জানুয়ারি (শনিবার) রাজশাহীতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ২২৮ জনের। এর মধ্যে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ছিল ২২ জন। উক্ত নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
সূত্র জানায়, রবিবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রাজশাহী জেলার ১৪৩ জনের নমুনায় ৩১ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এছাড়া রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৮৯ জনের করোনার নমুনায় ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
সূত্র মতে, রবিবারের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি.এস.এম জাফর উল্লাহ এবং রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের। রবিবার বিকেলে তারা উভয়ে মোবাইল ফোন ও ক্ষুদে বার্তায় করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পান। তবে দুইজনের শারীরিকভাবে সুস্থ নিজ বাস ভবনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনে যাওয়ার আগে তারা গত রবিবার সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। শরীরে কোনো উপসর্গ না থাকলেও নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ আসে। বিকেলে তাদের ফোন ও ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়। কল্যাণ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক নিজ নিজ বাংলোতে অবস্থান করছেন। তারা দুইজনের শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন এবং সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার ঢাকায় নমুনা দিয়ে করোনা পজিটিভ হন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক। এছাড়া গত শনিবার নমুনা দিয়ে করোনা পজিটিভ হন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন।